হঠাৎ হাই প্রেসার হলে ৮টি কাজ করণীয়
হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কিহঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় এ বিষয় গুলো আমাদের অনেকের জানা নেই। ব্লাড প্রেসার হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে যে হাই ব্লাড প্রেসার হলে আসলে কি করতে হবে?
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে। নিম্ন রক্তচাপ যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠিক একই রকম হাই ব্লাড প্রেসারও আমাদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় চলুন বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
- হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
- হাই ব্লাড প্রেসার হলে কি করা উচিত
- দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
- পেশার হাই হলে কি খেতে হবে
- হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কি
- হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত নয়
- হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়
- স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার কত থাকা উচিত
- ব্লাড প্রেসার কত হলে হাই বলা যাবে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কেও অনেকেই জানতে চাই। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের হঠাৎ করেই কিন্তু ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানে না হঠাৎ করে হাই ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে কোন ধরনের সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। কি ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে যে হঠাৎ করে হাই ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি হবে?
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের অনেক সময় হঠাৎ করেই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন সুস্থ ব্যক্তির যদি হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে প্রথম কাজ হলো তাকে বিশ্রাম নিতে হবে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে ঘাম হয় অথবা মাথা গরম হয়ে যায় তাহলে মাথায় ঠান্ডা পানি অথবা বরফ দেওয়া যেতে পারে। হঠাৎ করে এরকম সমস্যা হলে যেখানে আছেন সেখানেই বসে পড়তে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য আমরা তেতুলের শরবত খেতে পারি। যদি তেতুলের শরবত না থাকে তাহলে লেবুর রস খাওয়া যেতে পারে। যদি এতেও কোন সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসক ঔষধ দেবে এবং সেই ওষুধ আমাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। যাদের আগে থেকেই রক্তচাপ বেশি রয়েছে সাধারণত তাদের হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে যে কোন কাজ ছেড়ে বিশ্রামে যেতে হবে।
হাই ব্লাড প্রেসার হলে কি করা উচিত
হাই ব্লাড প্রেসার হলে কি করা উচিত? যারা জানেনা সাধারণত তাদের জন্য আমাদের আজকের
এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু হাই ব্লাড প্রেসার
রয়েছে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিম্ন রক্তচাপ যেমন আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় ঠিক একই রকম হবে হাই ব্লাড প্রেসার আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতির কারণ। তবে আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে তাহলে আপনার কি করা
উচিত এই বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।
- যদি আপনি হাঁটাচলা করেন এবং হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে চলাফেরা বন্ধ করে দিতে হবে। এবং নিজেকে শান্ত রাখতে হবে।
- যদি এরকম সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে আরামদায়ক কোন স্থানে বসতে হবে এবং এক পাশ হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে যেতে হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে হলে তেঁতুলের রস খেতে পারেন। যদি কাছে তেতুলের রস না থাকে তাহলে এর পরিবর্তে লেবু পানি খাওয়া যেতে পারে।
- হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হল আদা। তাই এই হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্য তালিকায় আদা রাখা যাবে।
- রক্তচাপ যদি বেড়ে যায় তাহলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং তেল যুক্ত খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এর পাশাপাশি চর্বিযুক্ত এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
- যদি আপনার হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে তাহলে কোন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে তেল কি মাখন লবণ জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবে না।
- ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং হাঁটাচলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে মাথা এবং ঘাড়ে ঠান্ডা পানি দিতে পারেন এতে আপনার একটু আরাম লাগবে এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুতে পারেন এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় অনেকেই জানতে চাই। হঠাৎ করে যদি ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। এখন জানবো যে হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে কিভাবে কমাতে হবে? কারণ দ্রুত ব্লাড প্রেসার কমানো না গেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এমনকি মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় জেনে রাখতে হবে।
- হঠাৎ করে যদি হাই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে এটি কমানোর জন্য প্রথমে আমাদেরকে বসে যেতে হবে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন অবশ্যই আরামদায়ক কোন স্থান খুঁজে সেখানে বসে বিশ্রাম নিতে হবে।
- যদি সবার মতো কোনো পরিবেশ থাকে তাহলে একপাত্র হয়ে যেতে হবে তাহলে অনেকটাই ব্লাড প্রেসার কমে যাবে।
- হাই ব্লাড প্রেসার অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে মাথা গরম হয়ে যায় তখন আমাদের করণীয় হল মাথায় ঠান্ডা পানি দেওয়া অথবা বরফ ব্যবহার করা।
- তাছাড়া ব্লাড প্রেসার কমানোর আরো একটি উপায় রয়েছে সব জাতীয় খাবার খাওয়া। যদি বাসায় তেতুল থাকে তাহলে তেতুল খেতে হবে। অথবা তেতুলের রস খেতে হবে।
- যদি আপনার আগে থেকে এই ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যে ওষুধ সেবন করছেন সেটি দ্রুততার সাথে খেতে হবে।
পেশার হাই হলে কি খেতে হবে
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় সাধারণত এই বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি। ব্লাড প্রেসার যদি হাত হয় সাধারণত আমাদেরকে কি খাওয়া উচিত? এই বিষয় গুলো কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা। উচ্চ রক্তচাপ অথবা নিম্ন রক্তচাপ হোক আমাদেরকে খাবার দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে অথবা কমে যেতে পারে। যাদের ব্লাড প্রেসার হাই সমন্ধ তাদেরকে জেনে রাখতে হবে যে হাই প্রেসার হলে কি খেতে হবে?
- যাদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে সাধারণত তাদেরকে খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি বিশেষ করে পালংশাক, ফুলকপি, শসা, লাউ, মটরশুঁটি, কলমি শাক, বাঁধাকপি, টমেটো এই খাবার গুলো রাখতে হবে।
- পটাশিয়ামযুক্ত খাবার গুলো উচ্চ রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার সাধারণত এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ভূমিকা রাখে তাই নিয়মিত কলা, ডাবের পানি, টমেটো খেতে হবে।
- যাদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে সাধারণত তাদেরকে প্রতিদিন এক কাপ করে দুধ খাওয়া উচিত এতে করে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- এ সকল মাছের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল থাকে সাধারণত সেই মাছ গুলো বাদ দিতে হবে এবং যে মাসের মধ্যে পটাশিয়ামযুক্ত থাকে সেই মাছগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী হল ফল। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যে সকল ফল খেতে পারবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম আমলকি, নাশপতি, পেঁপে, বেদানা, পেয়ারা।
হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কি
হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কি? যারা জানেনা সাধারণত তাদের জন্য আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে গেলে সাধারণত এটি কমানোর জন্য আমরা অনেকেই ওষুধ সেবন করে থাকি। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ধরনের ওষুধ গুলো সেবন করবে সে সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নেয়। আপনার যদি হঠাৎ করে হাই ব্লাড প্রেসার হয় তাহলে কোন ওষুধ সেবন করবেন অবশ্যই আপনার জানা উচিত।
- ল্মেট্র্য়াক ২০ এম জি ট্যাবলেট
- ওল্মার্ক ২০ এম জি ট্যাবলেট
- অলমাইটি ২০ এম জি ট্যাবলেট
ওপরে বেশ কয়েকটি ওষুধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি আপনার উচ্চ
রক্তচাপ কমানোর জন্য কোন ওষুধ সেবন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একজন অভিজ্ঞ
চিকিৎসা করে পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা
উচিত নয়। এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই যে কোন ওষুধ সেবন করার আগে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত নয়
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় যেহেতু এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা হাই ব্লাড প্রেসার হলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না সাধারণত এই বিষয় গুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে খাবারের কারণে কিন্তু অনেক সময় ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। তাই যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সেই খাবার খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় কিনা এই বিষয়টি ধারণায় রাখতে হবে।
- যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। এমনকি এমনিতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ হলে ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গরুর মাংস, খাসির মাংস, মাখন, কেক এবং অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার।
- প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া ফাস্ট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ এই খাবারগুলো অতিরিক্ত ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়।
- অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার ফলে কিন্তু ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। তাই হাই ব্লাড প্রেসার হলে অতিরিক্ত ভাত খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
- যদি নিশা জাতীয় কোন দ্রব্য খাবার ফাঁস থাকে বিশেষ করে ধূমপান এবং মদ পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে এগুলোকে বাদ দিতে হবে।
হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়
হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে বেশ কিছু ফল রয়েছে যেগুলো হাই ব্লাড প্রেসার এর কারণ। আবার এমন কিছু ফল রয়েছে যেগুলো খেলে ব্লাড প্রেসার অনেকটাই কমে যায়। তবে এই মুহূর্তে আমরা জানবো উচ্চ রক্তচাপ হলে কোন ফল গুলো খাওয়া থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। তাই চলুন সে ফলগুলোর নাম বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
যে সকল ফলের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল থাকে এবং যে ফলগুলো খাওয়ার পরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সেই ফলগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ হলে প্রতিদিন যে সকল তাজা ফল খেতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমলকী, আপেল, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি। এর বাইরে অন্য যে কোন ফল খাওয়া থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার কত থাকা উচিত
স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার কত থাকা উচিত? আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা। যাদের উচ্চ রক্তচাপ অথবা নিম্ন রক্তের যত সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদেরকে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। কারণ সুখে থাকার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার রাখতে হবে। এখন বিষয় হচ্ছে যে ব্লাড প্রেসার কত হলে সেটিকে স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার বলা যেতে পারে? যারা ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে কোন ধারণা রাখেন না সাধারণত তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাধারণ স্থির রক্তচাপ হয়ে থাকে প্রায় ১২০ মিলিমিটার পারদচাপ সংকোচক এবং ৮০ মিলিমিটার পারদচাপ প্রসারক। যেটিকে আমরা সংক্ষেপে ১২০/৮০ ব্লাড প্রেসার বলে থাকি।
ব্লাড প্রেসার কত হলে হাই বলা যাবে
ব্লাড প্রেসার কত হলে হাই বলা যাবে? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কেও কিন্তু
আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে। আর পেশার নিয়ে কিন্তু আমাদের অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে।
বিশেষ করে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদেরকে জানতে হবে
ব্লাড প্রেসার কত হলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলা যাবে? ১২০/৮০ রক্তের চাপ থাকলে
সেটিকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়। যদি রক্তচাপের পরিমাপ আমাদের উল্লেখ করা
পরিমাণ এর সমান থাকে তাহলে সেটিকে স্বাভাবিক হতে চাপ বলে।
যদি স্বাভাবিক রক্তচাপের চাইতে সংখ্যা কমে যায় তাহলে সেটিকে নিম্ন রক্তচাপ বলা
হয়ে থাকে আর যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ হয়ে যায় অথবা এর চাইতে বেশি হয় তাহলে সেটিকে
উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। আপনাদের যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা
ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে ব্লাড প্রেসার কত হলে সেটিকে হাই ব্লাড প্রেসার বলা
হয়ে থাকে। যদি ব্লাক প্রেসার মাপার পরে এই ধরনের কোন সংখ্যা দেখতে পান তাহলে
অবশ্যই বিশ্রাম নিন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। ব্লাড প্রেসার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয়। ব্লাড প্রেসার পেরিয়ে গেলেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর আর যদি ব্লাড প্রেসার
কমে যায় তাহলেও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমাদেরকে সবসময় চেষ্টা করতে
হবে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখার। কিভাবে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখা যায় এই
বিষয়গুলো ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে বিস্তারিতভাবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তখন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url