শীতকালীন সবজির বাজার রচনা ২০২৪
শীতকালীন সবজির বাজার রচনা নিয়ে আজকে আমাদের ছোট্ট এই আর্টিকেল। আমরা আজকে বাজার রচনা নিয়ে খুব সুন্দর করে বাজার রচনা তৈরি করব।
শীতকালীন সবজি নিয়ে আমরা বাজার রচনা তৈরি করব। শীতকালীন সবজি গুলো কি কি উপকার এবং কোন সবজিতে কেমন ভিটামিন তা নিয়ে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালীন সবজির বাজার রচনা
নিচের যেকোন অংশ পড়তে চাইলে জাস্ট ক্লিক করুন
শীতকালীন সবজির বাজার রচনা
শীতকালীন সবজির বাজার রচনা আমাতের দৈনন্দীন খাদ্য তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি
ভিটামিন ও মিনারেল থাকে কাচা সবজি ফলমূলে। বর্তমানে কাচা সবজি ফলমুল সবসময় পাওয়া
যায় কিন্তু শীতকালীন সবজির একটি আলাদা মজা থাকে যেটি সবাই বোঝেনা। শীতকালীন সবজির
একটি বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে যা শীতকালেই সবজি আসলে বোঝা যায়।
আমরা শীতকালীন সবজি নিয়ে একটি বাজার রচনা তৈরি করব। এই বাজার রচনা তৈরি করার জন্য
বর্তমান বাজার তদারকি করে দেখা গিয়েছে যে সবজির দাম কত চলছে এবং সবজি গুলো কেমন
দামে বিক্রয় হচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে। বিশেষ করে শীতের সবজি গুলো দাম কেমন উঠানামা
করছে বাজার গুলোতে মূল বিষয় গুলো তাৎপর্যপূন্য বাজার রচনায় তুলে ধরা হলো।
শীতকালীন সবজির বাজার
শীতকালীন সবজির বাজার রচনাঃ শীতের ঋতু যেনো প্রকৃতিকে এক নতুন চাদরে মেলে দেয়।
নভেম্বর থেকে মার্চ মাস অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীতকালীন ঋতু মানুষের একটিু বেশি আমেজ
দেখা যায় বিশেষ করে শীতকালীন খাবার গুলোতে। শীতকালীন খাবারে মধ্যে প্রধানত
শীতকালীন সবজি যা মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিকার মধ্যে
প্রধান পুষ্টির উপাদান। শীতকালে বাজারে বিভিন্ন সবজির দেখা মেলে যেমন বাধাকপি,
ফুলকপি, টমেটো, শিম, গাজর, ব্রকলি, শালগম, মুলা ইত্যাদি অন্যতম।
বাঁধাকপি ও ফুলকপি
বাঁধাকপি ও ফুলকপি এই দুই সবজি বাংলাদেশে শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম।
বাঁধাকপিতে থাকে প্রচুর ভিটামিন যেমন ভিটামিন-সি, কে, বি৬ ও বি৯ যা শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন কার্যক্রম এই বাধাকপিতে
রয়েছে। ফুলকপিতে রয়েছে একই ভিটামিন যা শরীরের নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং
মেটাবলিজম বাড়ায়।
এই সবজি গুলো শহরের বাজার গুলোতে বেশি বিক্রয় হয় কারণ উৎপাদিত সবজি গুলো গ্রামে
চাষ হয়ে শহরে পৌছায় এবং শহরে চাহিদা বেশি থাকে। শীতকালীন সবজির বাজার তদারকি
করে দেখা যায় যে ফুলকপি নিচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি এবং বাধাকপির বিক্রি করা
হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। শীতের শুরুতে দাম কিছুটা বেশি থাকলেও তার মাঝামাঝি
সময়ে সবজি গুলো সুলভমূল্যে পাওয়া যায়।
গাজর ও টমেটো
গাজর ও টমেটো এই দুটি সবজি খুবই জনপ্রিয়। এই দুই সবজি কাচায় খাওয়া যায় আবার
তরকারিতেও ব্যবহার করা যায়। সবজিগুলোতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের
জন্য অনেক উপকারী যেমন গাজরে রয়েছে ভিটামিন-এ, কে, বি৬, এবং সি টমেটোতে রয়েছে
ভিটামিন-সি, কে, এ এবং ভিটামিন-বি৯ সবজিগুলোতে প্রচুর ক্যারোটিন,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ রয়েছে।
সবজি গুলো যেমন সুঃস্বাদু তেমন ভিটামিনে ভরপুর। শতিকালে এই দুই সবজি অনেক
আগে থেকেই চাষ শুরু হয় কারণ চাষীরা জানে শীতকালে এই দুই সবজির বাজার চাহিদা অনেক
হয়ে থাকে। বাজার তদারকি করে দেখা যায় যে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা
কেজি এবং টমেটো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চাহিদা অনুযায়ী দাম বেশি থাকলেও
পরবর্তীতে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকলে এর দাম কমতে থাকে।
শিম ও বেগুন
শিম ও বেগুন এই দুই সবজি শীতকালীন সবজির মধ্যে জাতীয় সবজি ধরা হয়ে থাকে কারণ
শীতকালে প্রতটি ঘরে ঘরে শিম আর বেগুন ছাড়া যেন তরকারী হতে চাই না। এই দুই সবজিতে
রয়েছে প্রচুর ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য
খুবই উপকারী। ভিটামিন হিসেবে শিমে রয়েছে ভিটামিন-সি, কে, এ, এবং বি৯ এবং বেগুনে
রয়েছে ভিটামিন-সি, কে, বি৬ ও বি৩।
সকল শীতকালীন সবজি গুলোর ভিটামিনের উপাদান প্রায় সিমিলার থাকে কয়েকটি বাদে। শিম
শীতকালীন সবজি যা দেশি এবং হাইব্রিড দুটি ধরনের চাষ হয়ে থাকে এবং শীতকালের বেগুন
অন্যতম। বেগুন শরীরের হাড়ের, চামড়ার স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ কার্যকরি। শিম
১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ও বেগুনের দাম কমবেশি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি
হচ্ছে। তারপরও মানুষ ক্রয় করতে বাধ্য কারণ শীতের নতুন সবজির শ্বাদ নেবে
বলে।
শালগম ও মুলা
শালগম ও মুলা এই দুটি সবজি প্রধানত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। শীতকালে এই দুই সবজির
বাজারে চাহিদা থাকে অনেক। বাজারে সবজির দোকান গুলোতে চোখ গেলেই দেখা মিলে সাদা
সাদা মুলা ও শালগম। সবজি গুলো বাজারে নতুন উঠাতে ক্রেতার ভির থাকে অনেক এবং
বিক্রেতারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে সবজি গুলো বিক্রয় করে থাকে। খেতে যেমন সুঃস্বাদু
তেমন দামো নাগালের হাতেই থাকে।
সবজি গুলোতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের রাগ প্রতিরোধ সহ শরীরের
পরিপাকতন্ত্র এর জন্য বেশি উপকারী সবজি। শালগমে রয়েছে ভিটামিন-সি, কে, বি৯ ও ই
এবং মুলাতে রয়েছে ভিটামিন-সি, বি৯, বি৬ ও কে এইসব ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের
জন্য অনেক উপকার তেমন সবজি গুলো খেলে আমাদের শরীরের কোন ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে তা
পূরণ হয়ে যাবে।
ব্রকলি
ব্রকলি একটি পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাজারে আগের চেয়ে এখন বেশি দেখা মিলে
এইসবজিটি। কারণ মানুষ আগের থেকে এখন এই সবজির পুষ্টিগুনাগুন যেনে বেশি ক্রয় করতে
দেখা যায়। সবজিটি শহরের বেশ চাহিদা রয়েছে। রান্নার পাশাপাশি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট
গুলোতে ব্রকলি সবজি আইটেম ব্যবহার হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় সবজিটি বেশ
জনপ্রিয়তা লাভ করছে দিন দিন।
পুষ্টিগুর ভরপুর সবজিটিতে রয়েছে ভিটামিন-সি, কে, এ, বি৯, বি৬ ও ই এছাড়াও রয়েছে
ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ও খনিজের মতন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা
আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বাজারে এক ক্রেতার কাছ থেকে যানাযায় যে ব্রকলি
আগের চেয়ে এখন অনেক দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ১২০ কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।
দাম ও চাহিদা
শীতকালীন সবজির বাজার রচনা থেকে দেখা যায় যে শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজির ব্যাপক
চাহিদা থাকে বাজারে মানুষ হুড় হুড় করে দেখা মিলে শীতকালীন সবজি কিনতে। বিশেষ করে
সকালে টাটকা সবজি পেতে ক্রেতারা বাজারে বেশি ভিড় জমায়। দামের কথা বলতে হলে বোঝায়
যায় যে শীতের শুরুর দিকে দাম বেশি থাকে যা পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে।
তবে শীতের শেষের দিকে সবজি এবং উৎপাদন কমতে থাকায় দাম আবারো বাড়তে থাকে। উৎপাদনের
ওপর ভিত্তি করে বাজারে দাম ওঠানামা করতে থাকে। বরাবরি প্রতি বছর গ্রামের চেয়ে
শহরে চাহিদা বেশি থাকে শীতকালীন সবজি গুলোর। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সবাজি সরবরাহ
না দিতে পারলে সবজির দাম বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ পিঠা উৎসব রচনা ২০২৪
উপসংহার
পরিশেষে শীতকালীন সবজির বাজার রচনা বলা যায় যে শীতকালীন সবজির বাজার গুলো
থাকে জমজমাট। এই সময়ে বাজারে ক্রেতা, বিক্রেতার আনাগোনা অন্যান্য দিনের থেকে বেশি
দেখা যায়। বিক্রেতা সবজি বিক্রয় করে হয় খুশি ক্রেতা টাটকা সবজি পেয়ে হয় আরো বেশি
খুশি। তবে দামের দিকটা বিশেষ করে দাম বেশি থাকার সময়টা সরকারের উচিত বাজার
পর্যবেক্ষন করা যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাহিরে না চলে যায় সবজির দাম।
শীতকালীন বাজার
হেমন্তের পর আসে শীত। আমরা জানি পোষ ও মাঘ এই দুই নিয়ে শীতকাল। এই দুই মাসে
গ্রামের মাঠ ঘাট পুকুর ক্ষেতের ফসল ইত্যাদি কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে।
চারিদিকে শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও এই সময় প্রকৃতি যেন এক নতুন রূপ ধারণ করে
নানান শীতকালীন ফল মূল ও সবজি নিয়ে আসে। যেমন মুলা, বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ,
টমেটো, ধনেপাতা, পালংশাক, মটরশুটি, ওলকপি, শালগম, শিম ইত্যাদি।
গ্রামের কৃষকরা শীতকালে কষ্ট করে যেমন আমাদের জন্য ফসল ফলায় বিনিময়ে সবজি
বিক্রি করে তাদের জিবন চলে প্রতিনিয়ত পার করছে দিন। শীতের শুরুতে সবজির দাম
থাকে চড়া মধ্যখানে দাম থাকে সিমিত এবং শীতের শেষে সবজির দাম হয়ে যায় বেশি
এইভাবে বাজারে প্রতিবছর শীতকালীন সবজির কেনা বেচা হয়ে থাকে। বাঙ্গালিদের ঘরে
শীতকালে সবজির অভাব হয় না। হাটে বাজারে গেলে শীতকালীন প্রচুর সবজির দেখা মিলে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে একটি অসাধারণ সবজি হলো ধনিয়াপাতা যা যেকোন তরকারীর
স্বাদকে করে তুলে আরো অতুলনীয় তায় শীতকালে মানুষ বাজারে গেলে ধনিয়াপাতা ক্রয়
করার কথা যেনো ভুলেই না। বাঙ্গালিদের ঐতিহ্য বাহি ভাতে মাছে বাঙ্গালি শীতকালে
ধনিয়াছাড়া চলেই না। তাই শীতকালীন সবজির বাজার এর পরিস্থিতি থাকে অনেক ভিড় সকালে
শীতকালের টাটকা সবজি বেশি পাওয়া যায়।
শেষ কথা
শীতকালীন সবজির বাজার রচনা নিয়ে আজকে আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেল শেষ হলো। এখানে
দুইাট আর্টিকেল দেওয়া রয়েছে একটি ছোট এবং আরেকটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল আমরা প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে থাকি। এতক্ষন
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট সেকশনে
জানাতে পারেন।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url