শীতকালে টনসিল ভালো করার কয়েকটি উপায়

টনসিল বড় হয়ে গেলে করণীয়শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। শীতের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণত এই শীতকালে যে সকল সমস্যা বেশি হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টনসিল।

শীতকালে-টনসিল-ভালো-করার-উপায়

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই টনসিল কেন হয়ে থাকে? এবং হলে আমাদের করণীয়। তাই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায়

শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায়

শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় জানতে চাইলে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে আমাদের শরীরে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। ঠান্ডা বাতাস এবং ঠান্ডা পানি খাওয়ার কারণে অনেক সময় টনসিল হয়ে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে যে যদি ঘন ঘন টনসিল হয়ে থাকে তাহলে আমরা কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করব। তাই আপনাদের শারীরিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শীতকালে টনসিল কিভাবে ভালো করা যায়? সাধারণত এর কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো।

১। টনসিল ভালো করার জন্য গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই তাপ টনসিলের ওপরে দিতে হবে। এবং এ কাজ করার সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়িয়ে রাখতে হবে। তাছাড়া গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

২। বিশেষ করে আমাদের কান গলা এবং মাথা এই তিনটি স্থান গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। সাধারণত এই সময় বাতাস যেন আমাদের শরীরে বিশেষ করে গলাতে না লাগে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৩। শীতের সময় গলাব্যথা, টলসিলের সমস্যা থেকে অনেকটাই আরাম দিতে পারে লবণ এবং গরম পানির ভেপার। ঘন ঘন টনসিল হলে অবশ্যই আমাদেরকে এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হবে।

৪। তাছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য ফুটানো দুধের মধ্যে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান যা সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাছাড়া হলুদের মধ্যে এবং দুধের মধ্যে আরও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায়।

৫। তিন কাপ পানিতে যদি এক চা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে ফুটিয়ে খাওয়া যায় তাহলে গলার মধ্যে থাকা ইনফেকশন দূর হবে। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সাধারণত তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি এটা শরীরের জীবাণুর সাথে লড়াই করতে পারে। 

৬। তাছাড়া শীতের সময় টনসিলের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে মধু। যদি গরম করে হালকা পরিমাণে মধু খাওয়া যেতে পারে তাহলে এটি টনসিলের ফোলা ভাব দূর করার পাশাপাশি এবং এ ধরনের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।

টনসিল কাকে বলে

টনসিল কাকে বলে? সবার জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমবেশি আমরা সবাই টনসিলের সাথে পরিচিত। জীবনে একবার হলেও আমাদের গলাতে টনসিল হয়েছে। এখন বিষয় হচ্ছে যে অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু হয়নি। এই ধরনের সমস্যা হয়নি বলে ভবিষ্যতে হবে না বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। গলাতে অথবা মাথায় ঠান্ডা লাগার কারণে অনেক সময় এই ধরনের সমস্যা হয়। টনসিল এক ধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এর মধ্যে যদি কোন ইনফেকশন অথবা প্রদাহ হয় তাহলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি।

আমাদের প্রত্যেকের গলার ভেতরের দুই পাশে এক জোড়া প্যালাটিন টনসিল রয়েছে। টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর ইনফেকশনকেই বুঝে থাকি। টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং আমাদের মুখের ভেতরেই চারটি গ্রুপে তারা অবস্থান করে। এদের নাম লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস।

টনসিল হওয়ার কারণ

শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় জানার পাশাপাশি অবশ্যই এই সমস্যা হওয়ার মূল কারণ কি? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। প্রতিটি রোগের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যদি এ কারণগুলো খুঁজে বের করা যায় তাহলে খুব সহজেই সেই রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব। সাধারণত এই টনসিল জড়িত সমস্যা ঠান্ডা সময় অতিরিক্ত পরিমাণে দেখা দেই। এখন আপনি যদি এই টনসিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার উচিত এর কারণ জেনে নেওয়া।

টনসিল-হওয়ার-কারণ

টনসিলের হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভাইরাল সংক্রমণ। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া টনসিল গ্রন্থি গুলিকে সংক্রমিত করতে পারে। এ সমস্যার প্রধান ব্যাকটেরিয়া হলো Streptococcus pyogenes সাধারণত এটিকেই টনসিলাইটিসের জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া জনিত টনসিল ছোট বাচ্চাদের তুলনায় বড় হওয়া শিশু অথবা কিশোর-কিশোরীদের ভেতরে বেশি লক্ষ্য করা যায়। ভাইরাল টনসিলের চেয়ে ব্যাকটেরিয়াল টনসিল ভালো হতে বেশি সময় লাগে। তবে দ্রুত চিকিৎসা করা হলে দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব।

টনসিল কত প্রকার

টনসিল কত প্রকার? যারা জানেনা সাধারণত তাদের জন্য আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। শীতের সময় ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস জনিত কারণে টনসিল জনিত সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত এই সময় ঠান্ডা লাগার কারণে এই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস গুলো বেশি আক্রমণ করে। তবে বেশ কয়েক প্রকারের টনসিল লক্ষ্য করা যায়। আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টনসিল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই টনসিলের প্রকারভেদ গুলো জেনে নিন। জন্মগত ভাবে মানবদেহের চার ধরনের টনসিল থাকে।

  • ফ্যারিঞ্জিয়াল টনসিল
  • দুটি টিউবাল টনসিল
  • দুটি প্যালাটাইন টনসিল
  • লিঙ্গুয়াল টনসিল

টনসিল হওয়ার লক্ষণ

টনসিল হওয়ার লক্ষণ জানার প্রতি অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে। টনসিল ফুলে যাওয়ার রোগ নির্ণয় করার জন্য অবশ্যই এই সম্পর্কিত যে সকল লক্ষণ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। সাধারণত আমরা সবাই জানি যে যে কোন রোগ হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আমরা যদি এই লক্ষণ গুলো সঠিকভাবে জেনে রাখতে পারি তাহলে যে কোন রোগ সমাধান করা সম্ভব। টনসিলের যে সকল লক্ষণ রয়েছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • প্রচন্ড পরিমাণে গলা ব্যথা করা।
  • প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা হওয়া।
  • খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া।
  • মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হওয়া।
  • প্রচন্ড পরিমাণে কানে ব্যথা হওয়া।
  • মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া।
  • টনসিলের কারণে কণ্ঠস্বর ভারি হওয়া।
  • প্রচুর পরিমাণে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হওয়া।
  • গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি হওয়া।
  • পানি ঢোক গিলতেও কষ্ট হওয়া
  • গলা প্রচুর পরিমাণে ফুলে যাওয়া।

বাচ্চাদের টনসিলের ওষুধ

শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে এই টনসিল নিয়ে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার ছিল প্রায় সবগুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা হলে প্রচুর পরিমাণে কষ্ট হয়। আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের কষ্ট দূর করতে চান তাহলে আপনার উচিত টনসিলের কারণে বাচ্চাদের কোন ধরনের ওষুধ খাওয়াতে হবে এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তবে একজন ভালো মানের চিকিৎসকের কাছে জানলে সবচাইতে ভালো হয়।

যদি প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে প্যারাসিটামল এর সাথে টামাডল একটা করে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সিরাপ দেওয়া যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এন্টিহিস্টামিন যেমন ফেক্সোফেনাডিন অথবা রূপাটাডিন প্রতিদিন একটি করে পাঁচ থেকে সাত দিন সেবন করতে হবে। এগুলোর সাথে এমোক্সিসিলিন ৮ ঘণ্টা পরপর একটা করে খেতে হবে সাত দিন। যদি বাচ্চার বয়স ১২ বছরের নিচে হয় তাহলে ২৫০ মিলিগ্রাম আর ১২ বছরের মধ্যে ৫০০ মিলিগ্রাম খাওয়াতে হবে।

টনসিলের ফোলা কমানোর উপায়

টনসিলের ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে টনসিল ফুলে যায়। বিশেষ করে গলায় ঠান্ডা লাগার কারণে এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার টনসিল এর ফোলা ভাব কমাতে চান তাহলে আপনার উচিত বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করা। কোন ধরনের উপায় গুলো অনুসরণ করলে আমরা আমাদের টনসিল এর খোলা ভাব দূর করতে পারবো চলুন জেনে নেই।

১। টনসিলের ফলা ভাব কমানোর অন্যতম সেরা উপায় হল হালকা গরম পানি পান করতে হবে। যদি গরম পানি পান করতে না পারেন তাহলে গরম সুপ অথবা চা পান করতে হবে। বিশেষ করে আদা দিয়ে চা খেতে পারলে দ্রুত ব্যথা কমতে সাহায্য করবে।

২। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টনসিলার ব্যথা হয় অথবা ফুলে যায় তাহলে দই অথবা নরম খাবার খেতে পারেন। এতে করে আপনার গলার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে এবং এর সাথে সাথে ফোলা ভাব কমতে শুরু করবে।

৩। টনসিলের ফোলা ভাব কমানোর আরেকটি উপায় হল গরম সেঁক দেওয়া। যখন টনসিল ফুলে যায় সাধারণত তখন প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয় এর সাথে সাথে আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায় এগুলো সমাধানের জন্য গরম সেঁক দিলে অনেক ভালো।

৪। টনসিল অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে গেলে ঠান্ডা জাতীয় খাবার বিশেষ করে শসা এবং যে সকল ফল খেতে মানা এই ফলগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যার ফলে গলার ব্যথা কমার পাশাপাশি টনসিলের ফোলা ভাব কমতে সাহায্য করবে।

টনসিল বড় হয়ে গেলে করণীয়

টনসিল বড় হয়ে গেলে করণীয় আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে শীতের সময় সাধারণত এই ধরনের সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা বাতাস গলায় লাগার কারণে টনসিল ফুলে যেতে পারে। যদি আপনার টনসিল বড় হয়ে যায় তাহলে করনীয় কি? এই সময় আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে করণীয় গুলো জানা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এর ফলে আমরা খুব সহজেই টনসিল বড় হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারব।

টনসিল যদি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তাহলে আমাদের প্রথম কাজ হল এটি যেন আরও বড় না হয়ে যায় সাধারণত এই বিষয়টি খেয়াল রাখা। যদি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় তাহলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে এর সাথে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন খেতে না পারা পানি গিলতে না পারা ইত্যাদি। তাই টনসিল বড় হলে আমাদের প্রধান কাজ হল গরম কাপড় পরিধান করা ও গলা এবং মাথায় ঠান্ডা লাগতে না দেওয়া। বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে এগুলো অনুসরণ করে যদি টনসিল না কমে তাহলে ওষুধ সেবন করা।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা? সাধারণত এই বিষয়টিও জানা জরুরী। বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন টনসিল হয়ে থাকে সাধারণত তাদের টনসিলের ফোলা ভাব কমানোর জন্য কোন ধরনের খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা সাধারণত এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে টনসিলের ফলা ভাব আরো অধিক পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই খাবার সম্পর্কে জানতে হবে।

টনসিল-হলে-কি-কি-খাওয়া-যাবেনা

  • জাঙ্কফুড জাতীয় যে সকল খাবার রয়েছে সাধারণত এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারণত এই খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চানাচুর, চিপস, চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি
  • টনসিল হলে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন খাবার তৈরি করার সময় অবশ্যই কম মসলা ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
  • যদি তাড়াতাড়ি টনসিল ভালো করতে চান তাহলে টক জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এটি গলা ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবার গুলো টনসিলের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে এবং টনসিলের ফোলা ভাব বেড়ে যেতে পারে।
  • মিষ্টি আলু, চিনা বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই খাবার গুলো টনসিল বাড়িয়ে দেয়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা পানীয় অথবা ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ঠান্ডা পানি গড়ার ভেতর দিয়ে গেলে টনসিল আরও বেড়ে যেতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

শীতকালে টনসিল ভালো করার উপায় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন একজন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া। কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমরা টনসিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেহেতু শীতকাল চলে এসেছে এই শীতকালের টনসিল হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু অনেক বেশি থাকে। তাই আগে থেকেই এ বিষয়ে জেনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url