কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা অনেকে জানতে চান অনেকের অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য কালেক্ট করার জন্য বিভিন্ন সময় দর্শনীয় স্থান ভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। তারা মনোযোগ সহকারে রচনাটি দেখে নিতে পারেন।
এ বিষয়ে স্কুল কলেজের বিভিন্ন পরিক্ষা বিষয় বস্তু প্রশ্ন রচনা দিয়ে থাকে তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল। দর্শণীয় স্থান ভেদে একটি বিস্তারিত রচনা তৈরি করে দেখানো হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা
- কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা
- বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত
- লাবণী বীচ সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকত
- হিমছড়ি পাহাড় ও জলপ্রপাত
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
- মহেশখালি দ্বীপ
- রামু বোদ্ধ মন্দির
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- টেকনাফ ও নাফ নদী
- বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র
- উপসংহার
- শেষ কথা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক
যায়গায় এসেছেন আমরা আজকে কক্সবাজারের প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে আলোচনা করব
এবং এই বিষয় গুলো নিয়ে রচনা তৈরি করা হবে আপনারা সম্পূর্ন আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে
পড়ুন কারণ সম্পূর্ন আর্টিকেলটি রচনা আকারে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু আর্টিকেলটি
রচনা বিষয়ের তাই আমরা আপনাদের দর্শনীয় স্থানের একটি পূর্নাঙ্গ সঠিক তথ্য তুলে
ধরার চেষ্টা করব। নিচে আমাদের রচনা শুরু হলো।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত হলো বাংলাদেশের কক্সবাজার। কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
রচনার প্রধান ফটক হলো ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকত যা বাংলাদেশের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবিস্থিত এবং পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই সমুদ্র সৈকত যা সবাই
এক নামে চেনে। ঐতিহাসিক যুগে বাণিজ্যিক এর জন্য এই কক্সবাজার ব্যবহার হতো যা এখন
পর্যটন কেন্দ্র হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রিটিশ যুগে কক্সবাজারের নাম ছিল পালংকী পরবর্তীতে
১৭৯৯ সালে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স এর নামে নামকরণ হয় এই কক্সবাজার।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হওয়ায় প্রতিবছর সারা বিশ্বে থেকে এই কক্সবাজার দেখার
জন্য হাজার হাজার পর্যটক আসে যা বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের
আনাগোনা বেশি দেখা যায়। এই সময় প্রকৃতি শান্ত থাকে যার কারণে মানুষও থাকে বেশি।
দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও
অর্থনৈতিক দিক থেকে ভরপুর এই স্থান বাংলাদেশের অর্থনৈতিকের একটি চালিকা শক্তি বহন
করে। বাংলাদেশের পর্যটক এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে দেশের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চালের শহর কক্সবাজার।
লাবণী বীচ সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকত
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনার প্রধান আকর্ষণের মধ্যে পরে লাবণী বীচ সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকত নাম গুলো শুনলেই বোঝা যায় যে কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের মধ্যে প্রধান তিনটি সৈকত এইগুলো। এই প্রধান তিন সৈকতের নিজস্ব
কিছু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য এক নতুন নতুন প্রাকৃতিক
সোন্দর্যের অভিজ্ঞতার সম্মূখিন হয়।
লাবণী বীচঃ কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত এবং এই বীচের পর্যটকদের
তূলনামূলক বেশি ভিড় দেখা যায়। প্রাকৃতিক সোন্দর্য দিক দিয়ে এই বীচে সূর্যাদয় ও
সূর্যাস্থ এর মতন প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এই বীচে পুরো বালুকাময়
দিয়ে তৈরি এবং সমুদ্রের ঢেউ জল রাশি দেখতে অনেক সুন্দর। পাশাপাশি পর্যটকদের
জন্য রয়েছে প্যারাসেইলিং, জেট স্কি এবং হর্স রাইডিং এর মতন বিনোদনের প্রধান
আকর্ষণ।
সুগন্ধা সৈকতঃ এই বীচ লাবণী পয়েন্ট থেকে একটু দূরবর্তী পশ্চিমে অবস্থিত যা
হেটেই যাওয়া যায় পরিবেশ উপভোগ করতে করতে। এই বীচ অন্যবীচের তুলনায় শান্ত থাকে।
যার করনে পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠে এই বীচ পর্যটক শান্ত পরিবেশ বেশি উপভোগ করতে
চাই। লাবণী বীচের এর মতন এই বীচের প্রধান বৈশিষ্ঠ হলো শান্ত পরিবেশ। মানুষ
রেস্টুরেন্ট ক্যাফে গুলোতে একান্ত সময় কাটায়। এই বীচে জাহাজ স্পিডবোট ইত্যাদি
বিনোদনের সুযোগ রয়েছে পাশাপাশি স্থানীয় রেস্টুরেন্ট গুলোতে সামুদ্রিক মাছের
শ্বাদ নেওয়া যায়।
কলাতলী সৈকতঃ সুগন্ধা বীচের মতই শান্ত মনরম এক পরিবেশ এই কলাতলী সৈকত যা
কক্সবাজারের প্রধান সৈকত থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। কলাতলী বিচের প্রধান আকর্ষণ
হলো এই সৈকত থেকে দূরের পাহাড় দেখা যায় যা অনেক সুন্দর ও পর্যটকদের জন্য এক আদর্শ
স্থান। প্রাকৃতিক সোন্দর্যের পাশাপাশি সৈকত থেকে পাহাড় দেখার মজায় অন্যরকম।
বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ছোট নৌকায় ভ্রমন করা যায় এবং পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন
আকর্ষণীয় রিসোর্ট।
হিমছড়ি পাহাড় ও জলপ্রপাত
হিমছড়ি পাহাড় ও জলপ্রপাত কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। পর্যকদের
ভ্রমণের জন্য এই হিমছড়ি পাহাড় অনেক জনপ্রিয়। বেশিরভাগ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে
গেলে হিমছড়ি পাহাড়ের কথা যেন ভোলেই না কারণ পায়ে হেটে পাহাড়ে ওঠা এবং পাহাড়ের
ঝর্ণার পানি দেখার প্রাকৃতিক দৃশ্য মজাটায় জেন অন্যরকম এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা
তৈরি হয় পর্যটকদের মাঝে। পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্র সৈকত এর এক বিশাল জলরাশি দেখা
যায় যা নিজের চোখে দেখলে বিশ্বাসযোগ্য।
তবে পাহাড়ে ওঠার সময় বেশ সাবধানতার শাথে পাহাড়ে উঠা নামা করতে হয় কারণ আবহওয়া কখন
কোন সময় পরিবর্তন হয়ে যায় তা বলা মুশকিল তাই বেশিরভাগ পর্যটক বর্ষাকালীন সময় এই
স্থান এড়িয়ে চলে কারণ পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ অতিক্রম করা বেশ চ্যালেন্জ স্বরুপ এবং
কঠিন থাকে। পাহাড়ের ওপর থেকে বয়ে আসা ঝর্ণার ধারে পর্যটকেরা অনেক ভিড় জমায় এবং
অনেকে ঝর্ণার পানিতে নিজেকে মাতিয়ে তুলে।
আরো পড়ুনঃ
কক্সবাজার সম্পর্কে রচনা
ইনানী সমুদ্র সৈকত
ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার প্রধান ফটক গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি স্থান।
কক্সবাজার থেকে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। কক্সবাজার থেকে এক
নিরবিচ্ছন্ন পরিবেশ এই ইনানী সৈকত। এই সৈকতের প্রধান আকর্ষণ হলো এই সৈকতের প্রবাল
পাথর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সাদা বালু এবং নীল পানি। প্রবাল পাথর গুলো
সৈকতের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পর্যটকরা এই পাথরে বসে ছবি তুলার পাশাপাশি
প্রাকৃতিক সোন্দর্য উপভোগ করে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সৈকত হওয়ায় পর্যটকেরা অনেকে সরাসরী এই ইনানী সৈকতে ভ্রমণের
উদ্দেশ্যে যায়। তাছাড়াও এই সৈকতে নীল পানি রয়েছে এই পানি এতটাই স্বচ্ছ যে পানির
ভেতরের সামুদ্রিক পরিবেশ স্বচ্ছ ভাবে দেখা যায় যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পাশাপাশি
সাদা বালি দেখা মিলে যেই বালিতে সূর্যের আলোক ছটা পড়লে সোনালী রূপ দেখায় যা
পর্যটকদের জন্য এই দৃশ্য অতুলনীয়। অনেক পর্যটকদের পছন্দের এক যায়গা এই ইনানী
সমুদ্র সৈকত।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কক্সবাজারের একমাত্র প্রবল দ্বীপ। কক্সবাজার জেলা থেকে
টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর তীরে এর অবস্থান। এটি কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে
জনপ্রিয় একটি দ্বীপ। দ্বীপটি বর্তমান সময়ে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণে বিভিন্ন কারণে
নিষেধাজ্ঞা চলছিল কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ২০২৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকে পর্যটক ভ্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু দ্বীপটিতে পর্যটকদের অভাব নেয় প্রতিবছর হাজার হাজার
পর্যটক যাওয়ার জন্য ভিড় জমায়। দ্বীপটিতে টেকনাফ থেকে ট্রলার বা জাহাজে করে যেতে
হয় যা পর্যটকদের জন্য দারুন অভিজ্ঞতা। এই দ্বীপটি স্থানীয় নারিকেল জিঞ্জিরা নামে
পরিচিত।
এই দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হলো এর প্রাকৃতিক সোন্দর্য পানির নিচে বিভিন্ন রঙ্গের
প্রবাল দেখা যায়। সাথে স্বচ্ছ নীল পানি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। দ্বীপটিতে রয়েছে
অসংখ্য নারিকেল গাছ যা দ্বীপটির পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে থাকে। আরো রয়েছে বিভিন্ন
প্রজাতির প্রাণী যেমন সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক পাখি
ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়। সেন্ট মার্টিনের সূর্যাদয় এবং সূর্যাস্থ খুব সুন্দর
ভাবে উপভোগ করা যায়।
মহেশখালি দ্বীপ
মহেশখালি দ্বীপ হলো একটি পাহাড়ি দ্বীপ যা কক্সবাজার শহর থেকে ২০-৩০ মিনিটের নৌপথে উপকূলের কাছে অবস্থিত। মহেশখালি দ্বীপ প্রাকৃতিক সোন্দর্য পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ
ফরেস্ট ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনার জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপের পাহাড়ে উপরে অবস্থিত
রয়েছে আদিনাথ মন্দির এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির যা হিন্দু সম্প্রদায়ের
মানুষের জন্য তৃর্ত্থ স্থান।
এছাড়াও মহেশখালি দ্বীপের খুব কাছেই অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ যেখানে সামুদ্রিক পাখি
দেখা যায় এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পালন
করে এই মহেশখালি দ্বীপ কারণ এই দ্বীপে লবণ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপে
রয়েছে ঝিনুক ও মুক্তা চাষ হয়ে থাকে যা পর্যটকদের জন্য এইসব পণ্য বেশ জনপ্রিয়।
প্রাকৃতিক পরিবেশের বেশ ভালো সম্ভার রয়েছে এই মহেশখালি দ্বীপে।
রামু বৌদ্ধ মন্দির
রামু বোদ্ধ মন্দির বৌদ্ধ ধর্মবালম্বী মানুষদের জন্য জনপ্রিয় স্থান। কক্সবাজার জেলার
রামু উপজেলায় এর অবস্থান। এশিয়া মহদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি এই মন্দিরে
অবস্থিত। এটি ১০০ ফুট লম্বা এবং স্বর্ণের মতো রঙে উজ্জ্বল দেখতে এই মূর্তিটি। এই
কারণে প্রতি বছর সুধু এই বৌদ্ধ মূর্তি দেখার জন্য অনেক পর্যটক এই মন্দিরে ভিড়
করে। এই মন্দিরে ঐতিহাসিক যুগ থেকে বিভিন্ন বুদ্ধের স্মৃতি চারণ রয়েছে এই রামু
মন্দিরে যা পর্যটকদের বিভিন্ন বুদ্ধের ইতিহাস ব্যাপরে অবগত হয়ে থাকে। মন্দিরের
আশেপশে বৌদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন হস্ত শিল্পের পন্য ইত্যাদি পর্যটকদের দৃষ্টি
আকর্ষন করে।
সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ মহেশখালির পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। এই
দ্বীপে যেতে মহেশখালি থেকে ট্রলার বা নৌকায় চড়ে যেতে হয়। এই দ্বীপে জীববৈচিত্র
জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্থান অন্যান্য দ্বীপের মত এই দ্বীপে রয়েছে আলাদা কিছু
বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির দেখা মিলে এই দ্বীপে। এই দ্বীপে বাস করে
কচ্ছপ যা দেখতে পাওয়া খুবই কঠিন পর্যটকরা বিলুপ্তপ্রজাতির লেপার্ড কচ্ছপ দেখতে
অনেকে ভিড় জমায়।
মাছ ও শুটকির জন্য বেশ জনপ্রিয় এই সোনাদিয়া দ্বীপ অনেক পর্যটক সামুদ্রিক মাছের এই
শুটকির শ্বাদ নিতে ভিড় জমায় এবং এই স্থানের শুটকি বাংলাদেশ জুড়ে অনেক বিখ্যাত।
শীতকালে নভেম্বর থেকে শীত এর শেষ অবদি পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় এই দ্বীপে।
সোনাদিয়া দ্বীপে উন্নত মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর সুযোগ খুব কম দেখা মিলে তাই
নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উত্তম কাজ হবে পর্যটকদের
জন্য।
টেকনাফ ও নাফ নদী
টেকনাফ ও নাফ নদী কক্সবাজার থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পর্যটকদের জন্য এক
অন্যতম প্রাকৃতিক নিদর্শন এবং যায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ মায়ানমারের
সীমান্তে এর অবস্থান। সীমান্তের পাশে থাকায় স্থানটির কর্তৃপক্ষের নির্দশনায়
পর্যটকদের জন্য সীমানা নির্ধারণ করা রয়েছে এবং পর্যটকদের সুরক্ষা রক্ষায়
দায়িত্বরত কর্মীরা পর্যবেক্ষন করে থাকে। প্রতিবছর টেকনাফ এর সোন্দর্য দেখতে বহু
পর্যটক দেখতে পাওয়া যায়।
টেকনাফের পাহাড়, নদী, সীমান্তবর্তী মায়ানমারের পাহাড় ও গ্রাম গুলো দেখতে পাওয়া
যায় যা একজন বিদেশী পর্যটকদের জন্য দারুন অবিজ্ঞতা। টেকনাফের সমুদ্র সৈকত অন্যসব
সৈকতের মতন প্রাকৃতিক সোন্দর্যে ভরপুর। নাফ নদী থেকেও মায়ানমারের পাহাড়ের দৃশ্য
উপভোগ করা যায়। নাফ নদীতে সামুদ্রিক ডলফিন এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ
দেখতে পাওয়া যায়। টেকনাফে রয়েছে সি-বিচ, নাফ ট্যুরিজম পার্ক যা পর্যটনদের আকর্ষণ
করে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র কক্সবাজার জেলায় ২০১৮ সালের প্রতিষ্ঠিত হওয়া
কেন্দ্র যা সামুদ্রিক গবেষণার বাংলাদেশের একটি সরকারী কার্যালয়। বঙ্গোপসাগরের
জলসীমার সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে এই অফিস। সামুদ্রিক বৈচিত্র,
প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশগত সমস্যার সমাধান, মৎস্য সম্পদ, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রক্ষা
ইত্যাদি নানা কার্যাবলির দায়িত্বে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনীতি ব্যবাস্থাপনায় এই আধুনিক গবেষণা কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রাকৃতিক সম্পদকে বাচিয়ে রাখতে এই গবেষণা কেন্দ্রের অবদান রয়েছে যা বাংলাদেশের
জন্য গর্বের বিষয়।
উপসংহার
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা এর উপসংহার বলতে আমরা বুঝি কক্সবাজার শুধু
বাংলাদেশের জন্য গর্ব নয় পুরো বিশ্বের কাছে গর্বের বিষয় কারণ দীর্ঘতম সমুদ্র
সৈকত, প্রাকৃতিক সম্পর্দে ভরপুর, পর্যটনদের জন্য আকর্ষণ কেন্দ্র, বৈদেশিক
পর্যটকদের আবিরভাব, বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ পাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। প্রাকৃতিক
সোন্দর্য পর্যটকদের মন আকর্ষন করে এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পর্যটন কেন্দ্র
হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিতে এর অবদান রয়েছে। আগামীতে আরো বিপুল ভাবে
সম্প্রচার হওয়া এই কক্সবাজার পর্যটন ক্ষাতে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করবে বলে আশা করা যায়।
শেষ কথা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান রচনা এর বিভিন্ন স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে একটি
রচনা তৈরি করা হয়েছে আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন
রচনা ভিত্তিক বিষয় আমরা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি ভালো লাগলে রচনাটি বন্ধুদের সাথে
শেয়ার দিবেন আর আমাদের সাইট ফলো দিয়ে রাখতে পারেন কারণ এরকম রচনা ভিত্তিক বিষয়
পাবলিশ করা মাত্রই আপনাদের কাছে নোটিফাই যেতে পারে।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url