কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান ও আরো কিছু জায়গা
ভূমিকাকক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান ও আরো কিছু জায়গা যেইগুলো অনেক জনপ্রিয় ও মানুষের সমাগম বেশি দেখা যায়। সুন্দর এই স্থান গুলো আপনার মন জুড়িয়ে দেবে।
আমরা আজকে আপনাদের জনপ্রিয় স্থান গুলোর পাশাপাশি আরো কিছু স্থান দেখাব যা আপনার অবশ্যাই ঘুরে দেখবেন। স্থান গুলোর ছবি ও বর্ণনা সবি থাকবে এক সাথে।
পেজ সূচিপত্রঃ কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
নিচের যেকোন অংশ পড়তে চাইলে জাস্ট ক্লিক করুন
- কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
- কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানের ছবি
- কক্সবাজার বিচের নাম
- কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
- কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
- কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ ২০২৫
- কক্সবাজারে কম দামে হোটেল
- কক্সবাজারের পূর্বে নাম কি ছিল
- কক্সবাজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
- শেষ কথা
কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান এবং আরো কিছু অজনা স্থানের তথ্য নিয়ে আমরা
আপনাদের আজকে জানাতে চলেছি। কক্সবাজার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নাই আপনারা
সবাই জানেন তবে সেরা স্থান গুলো অনেকের অজানা ঘুরতে যেয়ে না জেনেয় অনেক সুন্দর
জায়গাগুলো আপনারা মিস করে ফেলেন এইজন্য আপনাদের জন্য সেরা স্থান গুলো নিয়ে আলোচনা
করব।
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
- টেকনাফ
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- ইনানী বীচ
- হিমছড়ি
- কলাতলী বীচ
- লাবানী বীচ
- কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
এই ১০টি স্থান পর্যটকদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। কক্সবাজার মানেই এই স্থান গুলো।
তবে লিস্টে থাকা সেন্টমার্টিন যাওয়া নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে কল্যানে
বর্তমানে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা চলছে সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে যাওয়া সহজ হয়ে উঠবে। আপনি
কক্সবাজার গেলে অবশ্যাই স্থান গুলো একবার হলেও ঘুরে দেখবেন আপনার চোখ জুড়িয়ে
যাবে। এই সেরা ১০টি স্থানের বাহিরেও আরো কিছু স্থান রয়েছে যেইগুলো পর্যটকদের
জন্য দেখার মতন স্থান যেইগুলো নিচে উল্লেখ করা আছে। হাতে সময় নিয়ে স্থান গুলো
ঘুরে দেখবেন।
- সুগন্ধা বীচ
- মহেশখালী দ্বীপ
- কুতুবদিয়া দ্বীপ
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- পটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত
- লাবনী পয়েন্ট
- রামু বোদ্ধ বিহার
- মেরিন রোড
এই হলো দর্শনীয় স্থানের সমাগম স্থান আপনি স্থান গুলো ঘুরে দেখতে দেখতে কখনও
বোর হবেন না কারণ যাইগুলো এত সুন্দর যা চোখে দেখলে একমাত্র বিশ্বাস করা যায়।
ছবিতে যেমন সুন্দর দেখায় তার চেয়েও বাস্তবে সুন্দর দেখতে। অনেকে যাইগা গুলো
নাম জানতেন না বা অজানা অনেকের। সমস্থ ঘুরার মতন যাইগাগুলোর নাম এইখানে তুলে
ধরা হয়েছে।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানের ছবি
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানের ছবি। আমরা আপনাদের কক্সবাজারে দেখার জন্য
সেরা ১০টি স্থান এর সুন্দর ছবি দেখাব যা দেখলে আপনার মনে হবে আজি ঘুরতে যাই।
সুন্দর এই দর্শনীয় স্থানের ছবি আপনাকে সত্যি মুগ্ধ করবে। তাহলে চলুন নিচে দেখে
নি ছবি।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৯০ কিলোমিটার দূরে
অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ছোট একটি ৮ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ। সেন্ট
মার্টিন দ্বীপের পানি একদম ক্লিয়ার সমুদ্র এর পানির মতন নিল পানি। সুন্দর ও
পরিষ্কার পানি এবং প্রকৃতিক সোন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপ। তবে বর্তমানে এই দ্বীপ
কিছু নিষেধাজ্ঞা কারনে পর্যটন ভ্রমন বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ
টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত
প্রাকৃতিক সোন্দর্যে ভরপুর। টেকনাফে রয়েছে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ী নদী, বনাঞ্চল,
পুন্দরী খাল, নাফ নদী ইত্যাদি সবগুলোই প্রাকৃতিক সোন্দর্যে ভরা যা দেখলে আপনার
মন জুড়িয়ে যাবে। পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান এটি।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে কক্সবাজার জেলার চাকরিয়া উপজেলায় শহর থেকে ২৮
কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পার্কে প্রাকৃতিক সোন্দর্যের পাশপাশি রয়েছে বিভিন্ন
পশু পাখি যেমন বাঘ, সিংহ, চিতাবাগ, হাতি, বিভিন্ন ধরনের মাকড়সা, সাপ, হরিণ
ইত্যাদি ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি মনোরম পরিবেশ।
সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার একটি দেখার মতন দ্বীপ এবং অত্যান্ত সুন্দর
একটি পর্যটক দ্বীপ। এটি মহেশখালি উপজেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবিস্থিত
বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ। ঘোরার জন্য শান্ত পরিবেশ জদি চান তাহলে আপনার জন্য
সোনাদিয়া দ্বীপ কোন কোলাহল নাই একদম শান্ত পরিবেশ সমুদ্রের নিল পানি দেখতে
পাবেন।
ইনানী বীচ
ইনানী বীচ কক্সবাজারের জনপ্রিয় বীচ গুলোর মধ্যে এটি একটি। আপনি নীল
জলারাশি, সাদা বালু, বিশাল সমুদ্র ও সূর্যাস্থের দৃশ্য দেখার জন্য একটি
আকর্ষণীয় স্থান পাবেন। পাথর সহ নানা রকম বৈচিত্র জিনিস দেখতে পাবেন এই
দীপে। ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মত একটি আর্দশ পরিবেশ প্রকৃতি আপনাকে
মুগ্ধ করবে।
হিমছড়ি
হিমছড়ি ঝর্নার জন্য বেশি বিখ্যাত আপনি প্রকৃতির মাধে বিশাল এক
ঝর্ণা দেখতে পাবেন যা আশোলে অনেক সুন্দর আপনি চাইলে পরিষ্কার
পানিতে একটু শরির ভিজিয়ে নিতে পারেন। শান্ত ও মনোরম পরিবেশ উপভোগ
করতে চাইলে আপনার জন্য হিমছড়ি ঝর্ণ। হিমছড়ি ঝর্ণার পাশপাশি আপনি
হিমছড়ি সৈকত পেয়ে যাবেন যা প্রকৃতিক সোন্দর্য ব্যাপক।
কলাতলী বীচ
কক্সবাজার বীচ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কলাতলী বীচ।
ছবিতে দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন মানুষের কোলাহলের পাশাপাশি
সমুদ্রের গর্জনের স্রোত। অন্যান্য বীচের মত কলাতলী বীচে একই
সোন্দর্য। আশোল কথা হলো সবগুলোই প্রকৃতিক সোন্দর্যে ভরপুর।
মানুষের রুচির ওপর একেক স্থান একেকে রকম ভাবে ভালোলাগে।
লাবানী বীচ
লাবানী বীচ কক্সবাজারের প্রধান বীচের কাছেই অবস্থিত অনেকে
প্রধান বীচ ছেড়ে লাবানী বীচে চলে যায় কারণ লাবানী বীচে
অন্যরকম একটি পরিভেশ আপনার ভালো লাগতে বাধ্য। এই বীচটি
যেমন সুন্দর তেমনি পরিষ্কার চাইলে আপনি সাতার কাটতে পারেন
সমুদ্র পানির ফিল নিতে পারবেন। ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন
কত সুন্দর।
কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
সামুদ্রিক মাছ দেখতে চাইলে আপনার জন্য কক্সবাজার শহরের
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড।টিভিতে দেখে এসেছেন এতদনি
সামুদ্রিক মাছ কিন্তু আপনি নিজের চোখে তখন দেখতে
পাবেন। ফিস ওয়ার্ল্ডের সুন্দর একুরিয়াম এর জগতে আপনাকে
মুগ্ধ করবে। সুধু মাছ নয় আপনি বিভিন্ন সামুদ্রিক
আশ্চর্য প্রানি দেখতে পাবেন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যা পুরো বাংলাদেশের মানুষ
সহ বিশ্বে এক নামে যাকে চেনে। দীর্ঘতম সমুদ্র
সৈকত। এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নিয়ে যত আলাপ
আলোচনা। যারা কখনও যাননি কক্সবাজার তারা একবার
হলেও যাবেন ঘুরবেন বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থান দেখবেন
সমস্ত কছিু এই কক্সবাজার নিয়ে গঠিত। সমুদ্র জগতের
প্রাকৃতিক সোন্দর্য উপভোগ করার মতন জনপ্রিয় স্থান।
সুগন্ধা বীচ
সুগন্ধা বীচ কক্সবাজার শহর থেকে উত্তর দিকে
অবস্থিত একটি বীচ। যারা শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে
চান তাদের জন্য উপযুক্ত এই বীচ। আপনি চাইলে এই
বীচে সমুদ্র নীল পানিতে সাঁতার কাটতে পারবেন পানির
ঢেউ গুলো ছোট আকারের এবং এই বীচে সাঁতার কাটা
নিরাপদ। এই বীচে ফটোগ্রাফ করার জন্য আর্দশ স্থান।
মহেশখালী দ্বীপ
মহেশখালী দ্বীপ কক্সবাজারের একটি ছোট দ্বীপ এবং
দেখতে অনেক সুন্দর আপনি ছবিতে নিশ্চয় দেখতে পারছেন
দুই পারে বন্য পরিবেশ মাঝখান দিয়ে ব্রিজ এই
ব্রিজের শেষ মাথায় রয়েছে সমুদ্র সৈকত দ্বীপটি
সমুদ্র ঘেষে তাই পাশেই পাহাড়ী পরিবেশ দেখা মিলে
প্রতিবছর বহু পর্যটক এই মহেশখালী দ্বীতে যেয়ে
থাকে।
কুতুবদিয়া দ্বীপ
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজারের একটি অংশ
প্রাকৃতিক দিক থেকে অন্য দ্বীপের চেয়ে
সোন্দর্য কম না। তবে এই দ্বীপ দেখতে মানুষ
বিশেষ কারণে যায় সেটি হলো এই দ্বীপে
কুতুবদিয়া বাতিঘর রয়েছে যা পর্যটকদের মনোযোগ
আকর্ষণ করে।
ইনানী সমুদ্র সৈকত
ইনানী সমুদ্র সৈকত ছবিতে দেখে নিশ্চয়
বুঝতে পেরেছেন দ্বীপটি কেমন। কক্সবাজার
শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে
অবস্থিত ইনানী দ্বীপ। এই দ্বীতে প্রধান
আকর্ষণ হলো নিল জলরাশির মধে বড় বড় পাথর যা
দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। প্রাকৃতিক পরিবেশ
অনেক সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা নিজের চোখে
দেখলে বুঝতে পারবেন।
পটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত
পটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত অন্যান্য সৈকতের
মতন এই সৈকতটিও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিক
থেকে অনেক সুন্দর। কক্সবাজার থেকে ১৪
কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। পটুয়ারটেক
এর প্রধান আকর্ষণ হলো এই সৈকতের পাশে
রয়েছে ঝাউবন যা প্রাকৃতিক সোন্দর্যকে
আরো বাড়িয়ে তুলে।
লাবনী পয়েন্ট
লাবনী পয়েন্ট ছবিতে দেখেই হয়তো বুঝতে
পারছেন মনে হচ্ছে সব পর্যটক মনে হচ্ছে
লাবনী পয়েন্টে এসে ভির করেছে হ্যা কথাটা
সত্যি। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই
সমুদ্র সৈকতে ভিড় করে কারণ সাগরের উত্তাল
ঢেউ ও প্রাকৃতিক পারিবেশের পাশাপাশি
বিনোদনের টেকনোলজি রয়েছে যা আপনার মনকে
করে তুলবে আনন্দময়।
রামু বোদ্ধ বিহার
রামু বোদ্ধ বিহার কক্সবাজার থেকে
১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এর
ভাসকার্য। মূলত এটি একটি ধর্মীয়
পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিবছর এই বোদ্ধ
বিহারের ভাসকর্য দেখতে প্রচুর মানুষ
ভির জমায় এই স্থানে। এই স্থানে
ঘুরতে গেলে আপনি ভাসকর্য দেখার
পাশাপাশি বোদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন
সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
মেরিন রোড
মেরিন রোড নাম জানেনা এরকম খুব কম
মানুষ রয়েছে। এই রোড ড্রাইভ করার
জন্য সুবিশাল ৮০ কিলোমিটার
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত
প্রাকৃতিক পারিবেশ দিয়ে আচ্ছান্ন এই
রোড। রোডের পাশ দিয়ে সমুদ্র সৈকত যা
এই রোডের প্রধান সুন্দর ফটক।
এইখানে মোট ১৮টি কক্সবাজারে দেখার
মতন স্থানের ছবি প্রকাশ ও নাম দেওয়া
রয়েছে যারা এই স্থানের সাথে এখনও
অজানা তারা স্থান গুলো দেখে চিনে
নিতে পারবেন খুব সহজেই। স্থান গুলো
বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য দর্শনীয়
স্থান। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক
ভির করে এইসব স্থানে।
কক্সবাজার বিচের নাম
কক্সবাজার বিচের নাম আমরা যারা শুধু
কক্সবাজার বিচ গুলো পছন্দ করেন এবং
সব বিচ গুলোর নাম জানেন না তাদের
জন্য বলব আপনি এই বিচ গুলো ঘুরে
দেখতে পারেন অনেক সুন্দর বিচ এবং
দেখার মতন সব প্রকৃতিক সোন্দর্য
রয়েছে যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। ওপরে
আমরা কক্সবাজারে দেখার জন্য
সেরা ১০টি স্থান নিয়ে আলোচনা করেছি
এখন আমরা জনপ্রিয় বিচ গুলোর নাম
দেখে নেব।
- ইনানী বীচ
- কলাতলী বীচ
- লাবানী বীচ
- সুগন্ধা বীচ
কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত তা আপনারা
অনেকে জানেন তারপরও যারা জানেন না তাদের
জন্য বলি বিশ্বের দৃর্ঘতম সমুদ্র সৈকত
হলো বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
যা ১৫৫ কিলোমিটার ৯৬ মাইল পর্যন্ত
বৃস্তিত্ব প্রাকৃতিক সোন্দের্যে ভরপুর।
প্রাকৃতিক সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্থ খুব
ভালো ভাবে উপভোগ সহ সামুদ্রিক মাছের
শ্বাদ পাবেন।
এইখানে রয়েছে বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর
ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশান।
কক্সবাজার দেখার জন্য রয়েছে অসংখ্য
দর্শনীয় স্থান যা আমরা ওপরে কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
বর্ণনা করেছি। মূলত এইসব কারণে
কক্সবাজার বিখ্যাত।
কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জানতে
চাইলে আপনি সঠিক যায়গায় এসেছেন অনেকে
জানেন না কখন যেতে হয় কক্সবাজারে না যেনে
অনেকে বেসময়ে যান গিয়ে সোন্দর্য উপভোগ
করতে পারেন না কারণ আবহওয়া খারাপ থাকে।
তাই মুক্ষম সময় হলো শীতকালের নভেম্বর থেকে
মার্চ মাস এর মধ্যে যাওয়া কারণ তখন
আবহওয়া শান্ত থাকে এবং সমুদ্রে বেশি
ঢেউ থাকেনা। তাপমাত্র স্বাভাবিক মাত্রাই
থাকে।
কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ ২০২৫
কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ ২০২৫ এর কথা বলতে
গেলে প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে ট্যুর
পেকেজের দাম তায় নির্দিষ্ট করে কিছু লিখা
সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে মানুষ যায় সব জেলার কত করে
ট্যুর পেকেজ থাকে তা কেবল নির্দিষ্ট জেলা
ভিত্তিক বলা সম্ভব।
অনলাইনে নিজ জেলা থেকে ট্যুর প্যাকেজ
সার্চ দিয়ে দেখে নিবেন। ঢাকার কথায় ধরা
যাক ঢাকা টু কক্সবাজার জনপতি ৩৫০০ টাকা, ৪
রাত তিন দিন ২ বেডের এক রুম। কম খরচের টুর। এবং আপনি যদি থ্রি-স্টার হোটেলে থাকতে চান তাহলে
৯০০০ টাকা জনপতি ১ রাত এবং ২ রাত ১১০০০
টাকা।
কক্সবাজারে কম দামে হোটেল
কক্সবাজারে কম দামে হোটেল এর নাম জানতে চান তাহলে আপনি
ঠিক যায়গায় এসেছেন আজকে আমরা কক্সবাজার এর কম দামি
হোটেলের নাম গুলো দেখব। সবাইতো আর ৫স্টার ৩স্টার হোটেলে
থাকবেনা মধ্যবিত্তদেরও ঘুরবার শক রয়েছে তাদের জন্য কম
দামি হোটেলের দরকার পরে। কিন্তু সুন্দর হোটেল গুলো উপচে
পরা দামে যেন ভিড়ায় কঠিন হয়ে পরে। নিচে দেখে নিব কিছু
কমদামি হোটেলের নাম।
- ওয়েল পার্ক রিসোর্ট
- হোটেল সানসেট বে
- হোটেল সী আলিফ
- হোটেল এক্সপ্রেস ইন
- রয়্যাল বীচ রিসোর্ট
- লাইট হাউস ফ্যামিলি রিট্রিট
- হোটেল কোস্টাল পীস
- গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল
- হোটেল বিচ পার্ক
- হোটেল সী প্যালেস গেস্ট হাউস
- হোটেল শৈবাল
কম খরচে ৩০০০ থেকে ৪০০০ মধ্যে এই হোটেল গুলো আপনি
কক্সবাজারে পেয়ে যাবেন। মূলত অফ সিজনে কম দামে আরো
ভালো রুম পাবেন এবং পিকনিক সিজন বা অন সিজনে দাম
বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনারা চাইলে আগে থেকে রুম বুকিং
দিয়ে রাখবেন তাহলে কম প্রাইসে পাবেন। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন।
কক্সবাজারের পূর্বে নাম কি ছিল
কক্সবাজারের পূর্বে নাম কি ছিল আপনারা জানলে অবাক
হবেন পূর্বে এর নাম করণ কি ছিল খুব ছোট্ট একটি গল্প
সেটি হলো ব্রিটিস ইন্ডিয়ার একটি কোম্পানির অফিসারের
নাম ছিল ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স। ব্রিটিশ সেই অফিসার
১৭৭৩ সালে ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গর্ভনর হিসেবে
নিয়োগ হন এবং বর্তমান কক্সবাজারের নাম
রেখেছিলেন পালংকি। প্যানোয়া নামেও
পরিচিত ছিল। যেহেতু তার নামের শেষ অংশে কক্স ছিল তাই
পরবর্তীতে তার সন্মামের জন্য নামকরণ করে কক্সবাজার
রাখা হয়।
কক্সবাজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
কক্সবাজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এক কথায় দেখে নি
বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত যা প্রায় ১৫৫
কিলোমিটার পর্যন্ত বৃস্তিত্ব বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে
অবিস্থিত। কক্সবাজারের পূর্বের নাম ছিল পালংকি,
প্যানোয়া নামেও পরিচিত ছিল। অসংখ্য প্রাকৃতিক
সোন্দের্যে ভরপুর আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে এবং সামুদ্রিক
মাছের খাবার পাওয়া যায়।
কক্সবাজারের গ্রীষ্ম কালে উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া
থাকে শীতকালে শুস্ক এবং ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে।
পর্যটকদের যাওয়ার জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত
উপযুক্ত সময়। বিদেশি পর্যটকরাও ভির করে বছরের বিভিন্ন
সময় তাদের দেখা যায়। পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানগুলো
হলোঃ প্যারাসেইলিং, স্নোরকেলিং, সাইক্লিং এবং নৌকাভমন
ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।
শেষ কথা
কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান সম্পর্কে অবগত
হয়েছেন এবং এর ছবি গুলো দেখে বুঝতে পেরেছেন। তবে
পাঠকের শেষ কথাতে কিছু পরামর্শ দিতে চাই যারা
কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন তারা অবশ্যাই সাবধানতার সাথে
ঘোরাঘুরি করবেন এবং নিজেকে সেভ রাখবেন। হাজার হাজার
মানুষের ভিড়ে মন্দ মানুষও যে থাকবেনা তার কোন নিশ্চয়তা
নেই। এতক্ষন পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url