ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়
ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার কারনফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় তা হয়তো অনেকরই ভালো ভাবে জানা নেই। যদি আপনি এই বিষয় নিয়ে ভালো ভাবে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আজকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে। যদি আপনি এই বিষয়ে ভালো ভাবে জানতে পারেন তাহলে আপনার আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়া থেকে বাঁচতে পারে।
বিভিন্ন ভুল কাজ করার ফলে ফেসবুক আমাদের আইডি রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। অনেক ধরণের কাজ যা ফেসবুক পলিসির বাইরে থাকে যা করার কারনে আমরা আমাদের আইডিতে রেস্ট্রিক্টেড নিয়ে আসি। আর তাই ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
পেজ সূচিপত্র : ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়
- ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়
- ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড আপিল
- ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হওয়া থেকে বাঁচতে হলে কি কি করতে হবে
- ফেসবুক একাউন্ট কিভাবে খুলে
- ফেসবুক পেজ রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার কারন
- ফেসবুক পেজ রেস্ট্রিক্টেড হলে করণীয় কি
- ফেসবুক হেল্প সেন্টার থেকে কিভাবে সাহায্য পাওয়া যায়
- ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হাওয়ার কারন
- ফেসবুক হ্যাক হলে করণীয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় তা হয়তো অনেকেই ভালো করে জানেন না। ফেসবুকের সাথে পরিচিত নয় এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। এখন পৃথিবীর সকল জায়গা ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এর ইউজার সংখ্যা হলো বিলিয়নের মতো। সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোর মধ্যে এটিই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট। আমাদের ব্যপক সংখ্যক লোক এই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। আর এই ফেসবুক যারা ব্যবহার করে থাকে তারা যা ইচ্ছা তাই পোস্ট করতে পারে না। তাদের কিছু নিয়ম মেনে পোস্ট, লাইক ও কমেন্ট করতে হয়। কিন্তু এই গুলো যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখনই ফেসবুকের অ্যালগরিদম তার একাউন্টটি রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়ে থাকে।
ফেসবুকের কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে যে গুলো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মেনে চলতে হয়। তা না হলে ফেসবুক তার আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। বর্তমানে এই সমস্যাটি খুবই কমন একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, আইডি রেস্ট্রিক্টেড হচ্ছে। ফেসবুকে যদি আপনার একাউন্টে কোনো রেস্ট্রিক্টেড আসে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনি ফেসবুকের কোনো পলিসি ভঙ্গ করেছেন।
আর সেই জন্যই ফেসবুক থেকে আপনার আইডিতে রেস্ট্রিকটেড এসেছে। আইডি রেস্ট্রিক্টেড এর সময় সীমা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি লাইক বা কমেন্টের স্প্যামিং করতে থাকেন তাহলে আপনার আইডি ক্ষণিকের সময়ের জন্য রেস্ট্রিক্টেড আসবে। এই ধরুন ২৪ ঘন্টার মতো। কিন্তু এই কাজটি আপনি যদি কোনো গ্রুপে গিয়ে করে থাকেন, তাহলে আপনার আইডিতে দীঘ সময়ের জন্য রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাবে।
কোনো গ্রুপে গিয়ে যদি অগণিত লাইক দেওয়া শুরু করেন, আপনার লাইকের লিমিট শেষ করে দেন। তাহলে আপনার আইডিতে রেস্ট্রিকটেড খুব সহজেই চলে আসবে। কিংবা একই ধরণের পোস্ট যদি বারবার করতে থাকেন তাহলেও আপনার আইডি রেস্ট্রিকটেড করে দিবে ফেসবুক অ্যালগরিদম।
সবচেয়ে বেশী রেস্ট্রিক্টেড খাওয়া যায়, একই কমেন্ট বিভিন্ন পোস্টের মধ্যে করতে থাকলে। এই ক্ষেত্রে যে রেস্ট্রিক্টেড আসে তার মেয়াদ থাকে এক বছরেরও বেশী সময়। তাই যদি নিজের আইডি কে রেস্ট্রিক্টেড এর হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে এই কাজ গুলো থেকে বিরত থাকবেন। আর যদি এই কাজ গুলো করেন তাহলে আপনার আইডিতে খুব সহজেই রেস্ট্রিকটেড চলে আসবে।
ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার সুনির্দিষ্ট কিছু কারন উল্লেখ করা হলো।
১. ফেসবুক কমিউনিটির গাইডলাইন না মানা
ফেসবুক কমিউনিটির কিছু গাইডলাইন রয়েছে যে গুলো না মানার কারনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে আইডিতে রেস্ট্রিকশন আসে। তাদের গাইড লাইন গুলোর মধ্যে হলো ব্যবহার কারীদের পোস্ট, লাইক, কমেন্ট ও অন্যান্য কার্যকলাপ গুলোতে সহনশীলতা, সাম্য ও সম্মান বজায় রাখতে হবে। যদি কোনো ব্যবহার কারী এই গাইডলাইন গুলো লঙ্ঘন করে থাকে তাহলে তার আইডিতে রেস্ট্রিকশন চলে আসবে।
২. ফেসবুকের নীতি মালা গুলো না মানা
ফেসবুলের নীতিমালা গুলোর মধ্যে হলো ব্যবহারকারীকে তার সঠিক তথ্য গুলো সাবমিট করতে হবে। আর নিজ একাউন্ট থেকে অন্যদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি কোনো ব্যবহারকারী এই সকল নীতিমালা গুলো ভঙ্ঘন করে থাকে তাহলে তার আইডিতে রেস্ট্রিকশন চলে আসবে।
৩. অতিরিক্ত রিপোর্ট আসলে
যদি কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীর একাউন্টে খুব বেশী পরিমাণ রিপোর্ট চলে আসে তাহলে তার ফেসবুক আইডি কে রেস্ট্রিক্টেড করে দেওয়া হয়।
৪. অস্বাভাবিক কার্যকলাপ করলে
যদি কোনো ব্যক্তি তার আইডি থেকে স্বাভাবিক পরিমাণ থেকে বেশী পরিমাণ পোস্ট, লাইক ও কমেন্ট করে থাকে তাহলে তার আইডি তে রেস্ট্রিকটেড চলে আসে।
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড আপিল
ফেসবুক যদি আপনার রেস্ট্রিকটেড হয়ে যায় তাহলে দেখবেন সেটি কত সময়ের জন্যে হয়েছে। যদি দেখেন যে ২৪ ঘন্টা সময়ের জন্য বা তার থেকেও কম সময়ের জন্য আইডিতে রেস্ট্রিকটেড আসে তাহলে ঐটুকু সময় অপেক্ষা করে নিবেন। যথা সময় পার হওয়ার পরই আপনার আইডি থেকে রেস্ট্রিকশন উঠে গেছে।
কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘ দিনের জন্য রেস্ট্রিকটেড খেয়ে থাকেন তাহলে তো আপনাকে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপনি চাইলে ফেসবুকের কাছে একটি আবেদন করতে পারেন। সেখানে আপনি তাদের ডিমান্ড করা তথ্য গুলো সঠিক দিয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনার আইডি থেকে রেস্ট্রিকশন উঠিয়ে নিতে পারে।
যে ভাবে আপনি ফেসবুকের রেস্ট্রিকটেড হওয়া একাউন্টের জন্য আপিল করতে পারেন তার তালিকা নিম্নে দেওয়া হলে।
- ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপে প্রবেশ করুন
- থ্রি ডট মেনু অপশনে ক্লিক করুন এবং একটু নিচের দিকে আসুন যেখানে রিপোর্ট ও প্রবলেম অপশনটি পেয়ে যাবেন।
- এখানে যাওয়ার পর কন্টিনিউ টু রিপোর্ট অপশনে ক্লিক করবেন।
- এরপর ইনক্লুড এ রিপোর্ট অপশনে যাবেন।
- কাজটি করার আগে আপনি আপনার প্রোফাইল যে কারনে রেস্ট্রিকটেড সমস্যাটি দেখাচ্ছে তার একটি স্কিনশর্ট তুলে নিবেন৷ যাতে প্রমাণ স্বরূপ দিতে পারেন।
- এবার ইনক্লুড এ রিপোর্ট অপশনে ক্লিক করে প্রোফাইল অপশনটি বের করুন।
- এখানে যাওয়ার এড ইমেজ নামক একটি অপশন দেখতো পারবেন, সেখানে স্কিনশর্ট নেওয়া ছবিটি এড করে দিন।
- তারপর ডেস্ক্রিপশন বক্সে আপনার সমস্যার কথাটি তুলে ধরবেন আর লেখাটি সম্পূর্ণ ইংরেজিতে লিখবেন।
- সব কিছু ঠিক থাকলে সেন্ড অপশনে গিয়ে সেন্ট রিপোর্ট এর ডান দিকে অপশনটিতে ক্লিক করলেই তা ফেসবুকের কাছে চলে যাবে।
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হওয়া থেকে বাঁচতে হলে কি কি করতে হবে
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় সম্পর্কে আমরা বেশ ভালো ভাবে জেনেছি। আপনার যদি ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিকটেড হওয়ার শিকার না হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ফেসবুকের কমিউনিটি ও তাদের পলিসি গুলো ভালো করে মেনে চললে আপনার আইডিতে কোনো প্রকারের রেস্ট্রিকশন চলে আসবে না। আপনি নিজের আইডি রেস্ট্রিকটেড হওয়া বাঁচাতে নিচের বিষয় গুলো মনে রাখবেন।
- ফেসবুকের নিয়ম কানুন গুলো খুব সুন্দর করে মেনে চলুন। তার আগে এই সব নিয়নকানুন গুলো ভালো ভাবে জেনে নিন। কেননা ফেসবুকের নিয়ম কানুন গুলো লঙ্ঘন করলে আপনার একাউন্টে রেস্ট্রিকটেড চলে আসবে।
- ফেসবুকে অন্য যে সকল ব্যবহারকারী গণ রয়েছে তাদোর প্রতি সদয় হোন, সম্মানশীল হোন। অন্য কোনো ব্যবহারকারীর সাথে কোনো রকম অশালীন বা খারাপ আচরণ করবেন না। অন্য ব্যবহারকারীদের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলবেন এবং তাদের মতামত কে শ্রদ্ধা করবেন।
- কোনো তথ্যের সত্য মিথ্য যাচাই করে তারপর পোস্ট করবেন। এখানে কোন ভুল বা মিথ্যাচার ছড়িয়ে দিবেন না। এটি ফেসবুকের নিয়ম কানুন কে লঙ্ঘন করে থাকে।
- অপরাধ মূলক বা আক্রমণাত্মক কোনো বিষয়বস্তু পোস্ট করবেন না। ফেসবুকে এই ধরণের কোনো বিষয় নিয়ে পোস্ট করা নিষিদ্ধ। এটি সম্পূর্ণ পরিপন্থী ফেসবুকের নিয়ম কানুনের।
- অন্য ব্যক্তির কোনো গোপণীয় তথ্য প্রকাশ করবেন না। এটি ফেসবুকের নীতি মালা গুলো কে লঙ্ঘন করে থাকে।
- স্প্যাম বা কোনো ধরণের অপ্রয়োজনীয় বার্তা পাঠাবেন না। ফেসবুকে এই ধরণের কোনো কাজ করা যাবে না। এটি ফেসবুকের নিয়ম কানুন গুলো লঙ্ঘিত করে থাকে।
ফেসবুক একাউন্ট কিভাবে খুলে
অন্য সামাজিক মাধ্যম গুলোর তুলনায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফেসবুক। এমন কাউকে হয়তো পাওয়া যাবে না যে ফেসবুক সমন্ধে জানে না। ফেসবুক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে ফেসবুক অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেখানে নিজের জন্য একটি আইডি খুলে নিতে পারেন। ফেসবুক একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন তার একটা তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
- ইন্টারনেট সংযোগ
- মোবাইল বা কম্পিউটার
- ইমেইল একাউন্ট বা মোবাইল নম্বর
- ব্যবহারকারীর বয়স নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে
ফেসবুক একাউন্ট খুলতে আপনি প্রথমে প্লে স্টোরে গিয়ে ফেসবুক লিখে সার্চ করে সেখান থেকে ফেসবুক ডাউনলোড করে নিন। সম্পূর্ণ নামা শেষ হলে তা ইনস্টল হবে এবং অ্যাপটি আপনার হোম মেনুতে চলে আসবে। আপনি চাইলে এর ব্রাউজার থেকেও অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে গুগলে গিয়ে www.facebook.com লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
আপনি আপনার নামানো ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করবেন। সেখানে নিচের দিকে নিউ ক্রিয়েট একাউন্ট নামক অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করে গেট স্টার্ট নামক বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন।
পরে আপনার থেকে নাম ও পদবি চাওয়া হবে আপনি তা পূরণ করবেন এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন। তার পর আপনার বার্থ ডে তারিখ দিবেন। পরে আপনার লিঙ্গ সিলেক্ট করে নিবেন। সব কিছু দেওয়া হলে আপনার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার চাওয়া হবে। এখানে বিকল্প হিসবে ইমেইলও দেওয়া হয়ে থাকে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটা নিবেন। ফোন নম্বর দিলে সেখান থেকে আপনাকে ফোন করে বা মেসেজ করে একটা কোড পাঠানো হবে। যদি ইমেইল দেন তাহলে আপনার ইমেইলে কোড দেওয়া হবে। কোড দেওয়া পর আপনার আইডি খোলা হয়ে যাবে।
এরপরে আপনার থেকে একটা পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে। মনে রাখতে পারবেন এমন এবং কেউ যাতে অনুমান না করতে পারে এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। চাইলে এই পাসওয়ার্ড সেভ করেও রাখতে পারেন। তারপর কিছু পলিসি দেখাবে আপনি এগ্রি করে দিবেন। আপনার কাছ থেকে প্রোফাইল পিকচার চাইবে এবং আরো কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে যা চাইলে তখনই দিতে পারেন না হলে পরে কোনো সময় দিবেন।
ফেসবুক পেজ রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার কারন
বিভিন্ন কারনে রেস্ট্রিকটেড আসতে পারে ফেসবুক পেইজে। উল্লিখিত কিছু কারন উল্লেখ করা হলো:
- ঘন ঘন যদি অ্যাড রিজেক্ট হয়ে থাকে।
- ফেসবুকের কোনো বিল বাকি থাকলে।
- কূপণ ব্যবহার করে ভিডিও বুস্ট করার পর পেমেন্ট বাকি করে রাখলে।
- ফেসবুক অ্যাড পলিসির ভায়োলেশন হলে।
- এমন অ্যাড দিয়ে অ্যাড রান করানো যার ইতিহাস ভালো না।
- পেইজে লাইক বাড়ানোর জন্য "লাইক ফর লাইক" জাতীয় থার্ড পার্টি ওয়েব সাইট ব্যবহার করলে।
- ফেসবুক পেইজে অ্যাডমিন প্যানেলে অতিরিক্ত ফেইক আইডি থাকলে।
ফেসবুক পেজ রেস্ট্রিক্টেড হলে করণীয় কি
ফেসবুক রেস্ট্রিক্টেড হলে করণীয় কি তা সবারই জানা দরকার। কেননা আপনার পেজে রেস্ট্রিক্টেড আসলে আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। ফেসবুক পেজে যদি রেস্ট্রিকটেড আসে তবে ফেসবুকে গিয়ে আপনি রিকোয়েস্ট রিভিউ পাঠাতে পারেন।এতে করে তারা যদি দেখে যে আপনার দেওয়া তথ্য গুলো সঠিক তাহলে তাহলে তারা রেস্ট্রিকটেড উঠিয়ে নিবেন। আর তথ্য গুলো যদি ভুল হয় তাহলে সারা জীবনের জন্য পেজ রেস্ট্রিকটেড করে দিবে।তাই রিকোয়েস্ট রিভিউ দেওয়ার সময় সব কিছু জেনে বুঝে খুব সাবধানে করবেন। নিজের তথ্য, ছবি ও ফেসবুক আইডি সব কিছুর তথ্য সঠিক হতে হবে।
ফেসবুক হেল্প সেন্টার থেকে কিভাবে সাহায্য পাওয়া যায়
আপনার যে কোনো সমস্যার দিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকে ফেসবুক হেল্প সেন্টার। এখানে বিভিন্ন কৌশল জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দিক নির্দেশনাও দিয়ে থাকে। হেল্প সেন্টার চালুর জন্য প্রথমে "হেল্প এন্ড সাপোর্ট" অপশনে যাবেন। এর পরে সেখানে "হাউ আই ক্যান হেল্প ইউ?" লেখা দেখাবে। সেখানে নিচে আপনি লিখতে পারবেন।
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হাওয়ার কারন
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হাওয়ার প্রধান কারন হলো দূর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। আপনি যদি কোনো রকম দূর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার একাউন্ট খুব সহজেই একজন হ্যাকার হ্যাক করে নিবে। আপনার একাউন্টে যদি কোনো রকম সিকিউরিটি অন করা না থাকে তাহলেও আপনার একাউন্ট খুব সহজেই হ্যাক হতে পারে। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করে না রাখলেও আপনার সিকিউরিটি দূর্বল থাকে। এই সব কারনেই একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে।
ফেসবুক হ্যাক হলে করণীয়
ফেসবুকে নিরাপত্তা বাড়াতে ও হ্যাকিং ঠেকাতে বেশ কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে ফেসবুক। আগে এই গুলো ঐচ্ছিক হলেও এখন এই গুলো বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে হয়।এগুলোর মধ্যে হলো সব একাউন্টেই গুগল অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করা। টেক্সট মেসেজে যে কোড যায় সেটি ব্যবহার করা। ফেসবুকে আইডি যদি নতুন কোনো ডিভাইসে লগ ইন করা হয় তাহলে আবার কোড ব্যবহার করা।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url