ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটিফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী সাধারণত সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে দৈনন্দিন কাজে যে সকল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রিজ।

ফ্রিজ-কেনার-আগে-যেসব-বিষয়-জানা-জরুরী

আমরা অনেকেই ফ্রিজ কিনতে চাই কিন্তু কোন ফ্রিজ ভালো হবে সাধারণত এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের একেবারেই ধারণা থাকে না। ভালো ফ্রিজ কেনার জন্যই ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী সে বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী

ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী

ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী সাধারণত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। বর্তমান সময়ে ফ্রিজ ব্যবহার করে না সাধারণত এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। দৈনন্দিন কাজে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সাধারণত এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রিজ। বেঁচে যাওয়া খাবার অথবা মাছ-মাংস বেশ কয়েকদিন ভালো রাখার জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।

১। ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়টি প্রথমেই জানা উচিত সাধারণত সেটি হল বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না? কারণ এই ধরনের ফ্রিজ ব্যবহার করলে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া আরো একটি উপকারিতা হলো এই ধরনের ফ্রিজ পরিবেশবান্ধব।

২। ফ্রিজ কেনার আগে যে ফ্রিজটা কিনছেন তার কনডেন্সার কিসের তৈরি অবশ্যই জেনে নিতে হবে। যদি কপার কনডেন্সারযুক্ত ফ্রিজ পেয়ে থাকেন তাহলে সেটি কিনে ফেলুন। এই ধরনের ফ্রিজ গুলোতে কম্প্রেসারের সঙ্গে তামার তৈরি কুলিং সিস্টেম যুক্ত করা থাকে।

৩। ফ্রিজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কম্প্রোসার। সাধারণত কম্প্রেসার যত ভালো হবে ফ্রিজ তত বেশি টিকবে। তাছাড়া ফ্রিজের কম্প্রোসার যদি খারাপ হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি আসবে। তাই কেনার আগে ফ্রিজের কম্প্রেসার কতটা উন্নত তা জেনে নেবেন।

৪। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে ফ্রিজ যত বড় হবে তত ভালো। আসলে বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। ফ্রিজ কেনার সময় অবশ্যই আপনার যেই মাপের ফ্রিজ প্রয়োজন সেটি কিনুন। কারণ বড় আকারের ফ্রিজ কিনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় না।

৫। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ফ্রিজ বাজারে এসেছে। সাধারণত এই ফিরোজ গুলোতে বিভিন্ন ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত করা থাকে। এই ফ্রিজ গুলোতে ওপরে ডিপ আর নিচে সাধারণ ফ্রিজ থাকে। এগুলো অনেক উন্নতমানের হয় তাই এই ফ্রিজ গুলো কিনতে পারেন।

৬। ফ্রিজ কেনার আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে যে ফ্রিজ কিনছেন সেটি ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট? কারণ নন ফ্রস্ট ফ্রিজে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে এবং কারেন্ট চলে গেলে দুই তিন ঘণ্টার বেশি খাবার ভালো থাকে না। সাধারণত তাই ফ্রস্ট ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি খাবার ভালো রাখে।

৭। ন্যানা হেলথক্যোর টেকনোলজির ফ্রিজ কিনবেন অবশ্যই। কারণ এই ধরনের ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করে রাখলে তা দীর্ঘক্ষণ ভালো থাকে। সাধারণত এই তথ্যগুলো ফ্রিজের গায়ে লেখা দেখে তারপরে কিনবেন।

বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো

বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কেও আমরা অনেকে জানিনা। তবে আমরা যেহেতু বাংলাদেশে বসবাস করি সেহেতু এই দেশের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিজ কোম্পানির সম্পর্কে জেনে নেব। এবং কোন কোম্পানির ফ্রিজ বর্তমান সময়ে বেশি দিন সার্ভিস দেয় সাধারণত এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও ধারণা নিয়ে নেব। কারণ ফ্রিজ আমরা দৈনন্দিন ব্যবহার করি যদি ঘনঘন নষ্ট হয় তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ওয়ালটনঃ বাংলাদেশের একমাত্র ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। এখানে ফ্রিজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস তৈরি করা হয়। দেশের বাইরেও এই কোম্পানির ফ্রিজ রপ্তানি করা হচ্ছে।

সিঙ্গারঃ বাংলাদেশের যে সকল ফ্রিজের চাহিদা বেশি এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিঙ্গার ফ্রিজ। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের জন্য সব ধরনের দামের ফ্রিজ এখানে পাওয়া যায়।

মার্সেলঃ বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজাইনের জন্য পরিচিত মার্সেল ফ্রিজ। সাধারণত এই কোম্পানির ফ্রিজ গুলো উন্নত বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে।

মাই ওয়ানঃ বাংলাদেশে এই কোম্পানির ফ্রিজের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এই কোম্পানির ফ্রিজ গুলোতে প্রযুক্তিগত ভাবে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

জেনারেল ইলেকট্রিকঃ জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির ফ্রিজ গুলো ধীরে ধীরে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি অর্জন করতে পারছে।

স্যামসাংঃ সাধারণত আমরা বেশিরভাগ মানুষ স্যামসাং ব্রান্ডের মোবাইল ব্যবহার করি। তবে বাংলাদেশে এই কোম্পানির অনেক উন্নত মানের ফ্রিজ পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ব্রান্ডের তুলনায় দাম বেশি।

এলজিঃ বাংলাদেশের যে সকল উন্নত মানের ব্রান্ডের ফ্রিজ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এলজি ব্র্যান্ডের ফ্রিজ। ধীরে ধীরে এই ফ্রিজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ফ্রিজ কেনার আগে করনীয়

ফ্রিজ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে সে বিষয়গুলো ধারণা নিয়ে নেওয়া। সাধারণত ফ্রিজ কেনার আগে এই করণীয় গুলো না জানার কারণে অনেক সময় আমরা ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে পারি না। ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে এ করণীয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।

ফ্রিজ-কেনার-আগে-করনীয়

সঠিক ফ্রিজ বাছাই করতে হবেঃ নতুন ফ্রিজ কেনার আগে যে সকল করণীয় রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক ফ্রিজ বাছাই করা। সাধারণত কোন সাহায্যের ফ্রিজ আপনি কিনতে চাচ্ছেন আপনার কত বড় ফ্রিজ প্রয়োজন এর ওপর নির্ভর করে আপনাকে ফ্রিজ কিনতে হবে।

বাজেট নির্ধারণ করতে হবেঃ আপনি যত বড় ফ্রিজ নিবেন সাধারণত তত বেশি দাম নিবে। এই জন্য আমাদের যত বড় ফ্রিজ প্রয়োজন সাধারণত ঠিক তত বড়ই ফ্রিজ কেনা উচিত। তাছাড়া ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই বাজেট নির্ধারণ করে নিতে হবে। আগে থেকে বাজেট নির্ধারণ করে রাখলে ফ্রিজ কেনার সময় ঝামেলা হবে না।

ফ্রিজের এনার্জি লেভেল চেক করতে হবেঃ ফ্রিজ কেনার আগে যে সকল করণীয় রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এনার্জি লেভেল চেক করা। একটি ফ্রিজের এনার্জি লেভেল এক থেকে পাঁচের মধ্যে হয়ে থাকে। এনার্জি লেভেল যত বেশি হবে ফ্রিজের কোয়ালিটি তত ভালো হবে।

ব্রান্ড নির্ধারণ করুনঃ বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ পাওয়া যায়। সাধারণত আপনি কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ নিতে চাচ্ছেন এটি আগে থেকে নির্ধারণ করুন। ব্রান্ড নির্ধারণ করলে সেই ব্রান্ডের ফ্রিজ গুলো নিয়ে রিসার্চ করা যায়। এতে করে অনেক গুলো ফ্রিজ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।

ওয়ারেন্টি চেক করুনঃ ফ্রিজ কেনার আগে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা জরুরি এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়ারেন্টি চেক করা। যে সকল ফ্রিজের ওয়ারেন্টি বেশিদিন থাকে না সাধারণত সেই ফ্রিজ নেওয়া উচিত নয়। তাই আপনি যে ফ্রিজ পছন্দ করেছেন তার ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি ভালোভাবে চেক করে নেবেন।

ফ্রস্ট ফ্রিজ কী

ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী তাই ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজ পাওয়া যায় সাধারণত এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফ্রস্ট ফ্রিজ। কিন্তু যাদের ফ্রিজ সম্পর্কে ধারণা কম সাধারণত তারা অনেকেই জানে না যে ফ্রস্ট ফ্রিজ কোনগুলো? ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার আগে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। সাধারণত এই ফ্রিজ গুলোর মধ্যে বরফ জমে। সাধারণত ফ্রস্ট ফ্রিজ প্রধানত সরাসরি শীতল রেফ্রিজারেটর। সরাসরি শীতল প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ফ্রিজের মধ্যে বরফ জমে।

এই ফ্রিজের বাতাসের মধ্যে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকে সাধারণত তাই সহজেই বরফ জমতে পারে। অনেক সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা যদি সঠিকভাবে সেট না করা হয় তাহলেও বরফ জমে। শুধু মাত্র ডিপ ফ্রিজ গুলো ফ্রস্ট ফ্রিজ হয়ে থাকে বেশি। সাধারণত এই ধরনের ফ্রিজে দীর্ঘদিন ধরে খাবার ভালো থাকে। তাড়াতাড়ি বরফ হয়ে যাওয়ার কারণে খাবারের মান আগের মতই ভালো থাকে। সাধারণত এই ধরনের ফ্রিজে আপনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ-মাংস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার সংরক্ষণ করতে পারবেন।

নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কাকে বলে

নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কাকে বলে? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কেও চলুন জেনে নেই। ফ্রস্ট ফ্রিজের সম্পূর্ণ উল্টা হলো নন ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজের ভেতরে যে বাতাস থাকে এর মধ্যে কোন আদ্রতা থাকে না। এই ফ্রিজের মধ্যে শুষ্ক বায়ু থাকে আর এর মাধ্যমে শীতল হয়। এই ধরনের ফ্রিজে বরফ জমে না কিন্তু খাবার দুর্গন্ধ হয় না সাধারণত এ বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রতিদিনের রান্না করা খাবার বেঁচে গেলে সাধারনত এগুলো রাখার জন্য নন ফ্রস্ট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। যদি দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে এই ফ্রিজের মধ্যে থাকা খাবার গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক বেশি আসে।

ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট কোনটি কেনা উচিত

ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট কোনটি কেনা উচিত? চলুন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। সাধারণত আমাদের পরিবারের সদস্য অনুযায়ী আমরা অনেকেই ফ্রিজ কিনে থাকি। যদি আপনার পরিবার ছোট হয়ে থাকে এবং আপনি ভালো মানের একটি ফ্রিজ কোশ্চেন তাহলে আপনার জন্য ফ্রস্ট ফ্রিজ হতে পারে ভালো পছন্দ। কারণ এই ধরনের ফ্রিজ গুলোতে শীতল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং অল্পতেই বরফ জমতে পারে। তাছাড়া এই ফ্রিজের মধ্যে আদ্রতা অনেক বেশি থাকে। দীর্ঘক্ষণ যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাতেও সমস্যা নেই।

আপনি যদি মাছ মাংস দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে চান তাহলে আপনার জন্য ফ্রস্ট ফ্রিজ অনেক কার্যকরী হবে। তাছাড়া এই ফ্রিজের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন তুলনামূলক বিদ্যুৎ বিল কম আসে। কিন্তু আপনি যদি নন ফ্রস্ট ফ্রিজ নিতে চান তাহলে এতে প্রতিদিনের বেঁচে যাওয়া খাবার রাখতে পারেন সাধারণত এগুলো সর্বোচ্চ একদিন ভালো থাকতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের ফ্রিজে বরফ জমতে পারে না এবং বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। যদি বিদ্যুৎ দীর্ঘক্ষন না থাকে তাহলে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটি

ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী সাধারণত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরী এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা? কারণ বেশ কিছু ফ্রিজ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার কারণে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে। সাধারণত বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কেনা উচিত। উপরের আলোচনায় ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে কোন ধরনের ফ্রিজ গুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী-ফ্রিজ-কোনটি

নন ফ্রস্ট ফ্রিজে সাময়িকভাবে খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায়। দীর্ঘক্ষণ যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে সংরক্ষণ করা খাবার গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার এই ধরনের ফ্রিজ গুলোতে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। আপনি যেহেতু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ চাচ্ছেন সেহেতু আপনার জন্য কার্যকরী হতে পারে ফ্রস্ট ফ্রিজ। সাধারণত এই ধরনের ফ্রিজ গুলোতে দীর্ঘক্ষণ খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায়। কারণ ফ্রিজ গুলোতে অল্পতেই বরফ জমতে পারে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম আসে।

ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায়

ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিজ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে সাধারণত তাদের জানার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এ বিষয়গুলো। ফ্রিজের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কম্প্রেসার। সাধারণত এটিকে ফ্রিজের প্রধান ইঞ্জিন বলা হয়ে থাকে। যে ফ্রিজের কম্প্রেসার যত ভালো সাধারণত সেই ফ্রিজ তত ভালো পারফরম্যান্স দেয়। তাই ফ্রিজ কেনার আগে কম্প্রেসার কেমন এই বিষয়টি জেনে নেওয়া জরুরী।

ফ্রিজের মধ্যে থাকা কম্প্রেসার এর কাজ হল ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম চালু রাখা। সাধারণত এর কারণেই ফ্রিজ ঠান্ডা হয়ে থাকে। সাধারণত এটি ফ্রিজের ভেতরের বাতাসকে সংকোচন করে এবং ঠান্ডা বাতাস উৎপন্ন করে। কম্প্রেসার এর মধ্যে কোন ধরনের মটর ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণত এই বিষয়গুলো কেনার আগে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাছাড়া যারা ফ্রিজ সম্পর্কে ভালোভাবে জানে তাদের কাছে ও ধারণা নিয়ে নিতে পারেন।

ডিপ ফ্রিজ চেনার আগে যা জানা জরুরী

ডিপ ফ্রিজ চেনার আগে যা জানা জরুরী সাধারণত এই বিষয়গুলো জানা জরুরী। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ফ্রিজে ডিপ এবং নরমাল একসাথেই থাকে। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র ডিপ ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে ফ্রিজ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা জরুরী না হলে ভালো মানের ফ্রিজ পাওয়া সম্ভব নয়। মাছ মাংস দীর্ঘদিন জমিয়ে রাখার জন্য সাধারণত এই ধরনের ডিপ ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

  • ফ্রিজের ধারণ ক্ষমতা কতটুকু সাধারণত এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আপনার যদি বড় পরিবার হয় তাহলে বেশি কিছু সংরক্ষণ করতে হতে পারে তাই এ বিষয়টি জানা জরুরী।
  • ফ্রিজের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঞ্জিন কম্প্রেসার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যদি উন্নত মানের কম্প্রেসার এবং মটর ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই কেনা উচিত।
  • দাম কেমন সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া। যদি ফ্রিজের দাম আপনার বাজেটের মধ্যে হয় তাহলে কিনতে হবে না হলে বাজেটের মধ্যে অনেক ফ্রিজ পাবেন একটু খোঁজখবর নিলেই হবে।

আমাদের শেষ কথা

ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরী সে বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে আপনাকে যেই বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে সাধারণত এর মধ্যে প্রতিটি বিষয় আমরা উপরোক্ত আলোচনা উল্লেখ করেছি। এই বিষয় গুলো না জেনে যদি আপনি ফ্রিজ কিনতে যান তাহলে অনেক সময় ভালো ফ্রিজ নাও কিনতে পারেন। তাই আপনার উচিত ফ্রিজ কেনার আগে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া।

এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url