শীতের ১০টি কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 ভূমিকা

শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেকে শীতের কবিতা পছন্দ করেন বা বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের শীতের কবিতা দরকার পরে তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল।

শীতের-কবিতা-রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

আপনাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের রচিয়তা শীতের কিছু কবিতা নিয়ে আমাদের আজকের এই পোস্ট তৈরি করেছি। আপনারা ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য বলা হলো। মজার মজার সব শীতকাল নিয়ে আজকের কবিতা।

পেজ সূচিপত্র ঃ শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমরা সকলেই জানি রবীন্দ্রনাথের কবিতা কতটা মধুর এবং প্রকৃতির আশোল রুপ নিয়ে প্রতিটি কবিতায় যেন জীবন্ত ভাব প্রকাশ করে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা মানেই জনপ্রিয়। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শীত নিয়ে যত কবিতা রয়েছে তার মধ্য থেকে বিশেষ কবিতা গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। নিচে আমরা কবিতা গুলো দেখেনি।

দুই দিন

আরম্ভিছে শীতকাল, পড়িয়েছে নীহার-জাল
শীর্ণ বৃক্ষশাখা যত ফুলপত্রহীন
মৃতপ্রায় পৃথিবীর মুখের উপরে
বিষাদে প্রকৃতিমাতা শুভ্র বাষ্পজালে গাঁথা
কুজ্বাটি-বসনখানি দেছেন টানিয়া
পশ্চিমে গিয়েছে রবি, স্তব্ধ সন্ধ্যাবেলা
বিদেশে আসুন শ্রান্ত পথিক একেলা।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবি দুই দিনের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন এবং সেই দেশের শীতকে উপলব্ধি করেছেন। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তা নিয়ে কবি তার নিজ ব্যাক্তের কথা কবিতায় তুলে ধরেছেন।

শীত

পাখি বলে, আমি চলিলাম
ফুল বলে, আমি ফুটিব না
মলয় কহিয়া গেল শুধু
বনে বনে আমি ছুটিব না।
কিশলয় মাথাটি না তুলে
মরিয়া পড়িয়া গেল ঝারি
সায়াহ্ন ধূমল-ঘন বাস
টানি দিল মুখের উপরি।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম শীত কবি এই কবিতাই শীতকালের সময় প্রকৃতি কেমন থাকে তারি একটি উদাহারন কবি কবিতায় তুলে ধরেছেন। পাখিরা গান গায় না, ফুল ফুটে না গাছের কিশলয় মাথা তুলে না এইসব প্রকৃতি নিয়ে কবি তার আলোচ্য কবিতাটি ফুটিয়ে তুলেছেন।

শীত

শ্রান্ত হয়েছে দিন
আলো হয়ে এল ক্ষীণ
কালো ছায়া পড়ে দিঘি-জলে।
শীত-হাওয়া জেগে ওঠে
ধেনু ফিরে যায় গোঠে
বকগুলো কোথা উড়ে চলে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার আরেকটি শীত কবিতায় রচিয়তা করেন এবং এই কবিতায় কবি তার দিনের কথা তুলে ধরেছেন দিনের শ্রান্ত পরিবেশকে কবিতায় তুলে ধরেছেন দিন শেষে ধেনু গাভী ফিরে আসে গোয়ালে কালো ছায়া পড়ে দিনের শেষে শীতকে কবি এইভাবে প্রকাশ করেছেন।

এই-যে শীতের আলো শিহরিছে বনে
শিরীষের পাতাগুলি ঝরিছে পবনে
তোমার আমার মন
খেলিতেছে সারাক্ষণ
এই ছায়া-আলোকের আকুল কম্পনে
এই শীত-মধ্যাহ্নের মর্মরিত বনে।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতায় কবি অন্যভাবে শীতের প্রকৃতি নিয়ে বর্ণনা করেছেন কিভাবে শীত কবির মনকে নিয়ে খেলা করে। শিরীষের পাতাগুলো কিভাবে ঝরে পরে কবি সেটি বুঝতে পেরেছেন এবং তার মনের আকুলতা প্রকাশ পায় কবির এই কবিতায়।

বুয়েনাস এয়ারস

শীর্ণ শীতের লতা
আমার মনের কথা
হিমের রাতে লুকিয়ে রাখে
নগ্ন শাখায় ফাঁকে ফাঁকে
ফাল্গুনেতে ফিরিয়ে দেবে ফুলে
তোমার চরণমূলে
যেথায় তুমি, প্রিয়ে
একলা বসে আপন মনে
আঁচল মাথায় দিয়ে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম বুয়েনাস এয়ারস কবি একদিন বেড়াতে গিয়েছিলেন এইখানে। সেখান থেকে তিনি তার মনের ভাব প্রকাশ করেন এই কবিতায় যে শীত যখল চলে যায় তারপর ফাল্গুন এসে প্রকৃতিকে ফুলে ফুলে ভড়িয়ে দেবে। ফুলে ফুলে প্রকৃতি রুপ নিলে কবি তার আঁচল বিছিয়ে একলা মনে থাকবে।

শীতের বিদায়

শীত চলে যায়, ফিরে ফিরে চায়
মনে মনে ভাবে এ কেমন বিদায়।
হাসির জ্বালায় কাঁদিয়ে পালায়
ফুল-ঘায় হার মানে
শুকনো পাতা তার সঙ্গে উড়ে যায়
উত্তরে বাতাস করে হায় হায়
আপাদমস্ত ঢেকে কুয়াশায়
শীত গেল কোনখানে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম শীতের বিদায়। কবিতায় শীতের বিদায় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি তার মনের মধ্যে ভাবনা এনেছেন যে এ কেমন শীত যে এসে আবার চলে যায় আর চলে যাওয়ার সময় কি দিয়ে যাবে আমাদের কে? বিদায়ের পরে যখন বসন্ত আসবে তখন সবাইকে হাসাবে।

বসন্তের পরে

শীত গেল, বসন্ত এসে
ফুলে ফুলে ভরে
দখিন হাওয়া গন্ধে-বাহী
লুটিয়ে পড়ে ঘরে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম বসন্তের পরে। কবি আরো একটি কবিতায় শীতের পরে যখন বসন্ত আসে তখন প্রকৃতি যেন ফুলে ফুলে দক্ষিণা হওয়া জেগে উঠে চারিদিকে হওয়া গন্ধে ভরে উঠে তিনি প্রকাশ করেছেন।

আজি শীতের সকালে

আজি শীতের সকালে
গাছের পাতায় শিশিরের জলে
জমেছে মুক্তার মালা
সূর্য উঠল দিগন্ত জুড়ে
আনন্দে আলোয় ভড়া।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম আজি শীতের সকালে। এই কবিতায় কবি শীতের সকালের কথা তুলে ধরেছেন যখন শীতের সকালে গাছের পাতায় শিশির দেখতে পান তখন কবি কার নিজের ভাব প্রকাশ করেন গাছের পাতায় শিশির পানি থাকায় তিনি মুক্তার মালা ব্যাক্ত করেছেন।

পথ হারা

শীতের কুয়াশা পথে
সূর্য ডুবে যায় মাঠে।
বাঁকা চাঁদের হাসি মিঠে
নীল আকাশের সাথে

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম পথ হারা। কবিতায় কবি পথের দিগন্তে দূর মাঠের সূর্য ডুবে যায় কবি তা উপভোগ করেন শীতের রাতের নীল আকাশে চাদের হাসি দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে কবিতাটি রচনা করেন।

আলো-আধারের খেলা

শীতের রাতে অন্ধকারে
তারার মেলা লাগে
শিউলির গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে
শীতল পবন জাগে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম আলো-আধারে খেলা। কবিতাটি নেওয়া হয়েছে কৃষ্ণকলি কাব্যগ্রন্থ থেকে। কবিতায় কবি শীতের রাতের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দেখেছেন কিভাবে রাতের তারারা একে অন্যের সাথে খেলা করে। শীতের রাতে কিভাবে শিউলি ফুল গন্ধ ছড়িয়ে শীতের রাতকে আরো মন মুগ্ধকর করে তুলে তিনি এইভাবে কবিতায় তার ভাব প্রকাশ করেছেন।

নতুন শীতের কবিতা

নতুন শীতের কবিতা আমরা অনেকে শীতের নতুন কবিতা খুজে থাকি। ওপরে আমরা শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে কবিতা রচিয়তা করেছি আপনারা দেখে নিতে পারেন। এখন আমরা নতুন শীতের কি কি কবিতা বের হয়েছে তা নিয়ে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। নিচে আমরা শীতের নতুন কবিতা প্রকাশ করেছি দেখে নিন।

শীতের ছবি

শীত এসেছে খেজুর গাছে
রস হয়েছে খুব
বেড়ে গেছে বাংলা মায়ের
প্রকৃতিটার রূপ।

ফুলে ফুলে মধু তুলে
মৌমাছিদের দল
দূর্ব ঘাসের ডগায় খেলে
শিশির কণা জল।

অতিথি সব পাখি এসে
ধরল সুখের গান
এমন সোনার বাংলা আমায়
করলো যে রব দান।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম শীতের ছবি লিখেছেন আতিকুর রহমান। কবি কবিতায় প্রকাশ করেছেন তার নিজস্ব প্রকৃতির অনুভব। তিনি তার কবিতায় শীত নেমে এসেছে খেজুর গাছে শীত আসাতে প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন হওয়াটা কবি তার নিজ চোখে দেখেছেন। তিনি আরো দেখেছেন আমাদের সোনার বাংলায় দূর্বা ঘাসের পাতায় শিশির কণা এমর সব রূপ তিনি শেষ পর্যায়ে রবের দান হিসেবে আক্ষায়িত করেছেন।

শীতের চাদর

শীতে জড়াই চাদরখানা
কাঁপে পাতা, নুয়ে ডালে।
হাওয়া বলে, ঘুমাও তুমি
নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে পালে।

পথে পথে শূন্য শাখা
ঝরে পাতা, নিঝুম বনে।
চাঁদের আলো শীতল কুয়াশা
মনে বাজে মৃদু সুরে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম শীতের চাদর। এই কবিতায় ফুটিয়ে তুলা হয়েছে প্রকৃতির অসাধারণ সুন্দর সোন্দর্য। কবিতাটি শীতের সকালের পরিবেশ এবং শীতের শান্ত প্রকৃতি নিয়ে আলোচানা করা হয়েছে।

কনকনে শীতের কবিতা

কনকনে শীতের কবিতা অনেকের পছন্দের কবিতা। অনেকে খুজে থাকেন এই কনকনে শীতের সময় একটি কবিতা আর্বিতি করা তাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি কনকনে শীতের কবিতা। আশাকরি আপনাদের পছন্দ হবে এই কবিতাটি রচিয়তা করেছেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে যেহেতু আমাদের আজকের মূল কবিতা সেহেতু আপনাদের জন্য নিচে কবিতা আর্বিতি করা হলো।

কনকনে শীত তাই
চাই তার দস্তানা
বাজার ঘুরিয়া দেখে
জিনিসটা সস্তা না।

কম দামে কিনে মোজা
বাড়ি ফিরে গেল সোজা
কিছুতে ঢোকে না হাতে
তাই শেষে পস্তানা।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতাটি কবি কনকনে শীতের সময় ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভাব প্রকাশ করেছেন। কবি বাচ্চাদের এই কনকনে শীতকালে প্রয়জনীয় দস্তানা চাই তাই বাচ্চা বাজারে গিয়ে মোজা কিনে এবং বাড়ি ফিরে ঘুমপাড়ানি হয়ে উঠে কবি তার কবিতায় ঠিক এইভাবে ভাব প্রকাশ করেছেন।

কনকনে শীতে ঘাসের উপর শিশির ঝরে
সূর্যের আলোয় যেন মুক্তার মত ঝলমল করে।
কনকনে শীত সকালে একচুমুক খেজুরের রসে
ষাট বছরের বুড়োর মতই যেন কাপুনি যেন উঠে
কনকনে শীতে চিতই-ভাপা ঘ্রাণে
রাস্তার মোড়ে পিঠার দোকানে ভিড় জমে।
কনকনে শীতে নদীমতৃপ্রায় যৌবন হারায়
আকাশ পানে চেয়ে থাকে বৃষ্টির আশায়

কনকনে শীতে কড়কুঠু দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে
গ্রামের জোয়ান-বুড়োর গাল গল্প করে
কনকনে শীতে দিনমজুরের কষ্ট বাড়ে
বস্ত্রহীনতার প্রকোপে রোগবলাই ধরে
কনকনে শীতে দিনের পর দিন চলে যাই
পাইনা খুজে সূর্যের দেখা
কনকনে শীতে কুয়াশায় চাদর মড়িয়ে
পথিক চলে গ্রাম বাংলার মেঠো পথে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কনকনে শীতের সময় গ্রামের পরিবেশ কেমন থাকে কবিতায় তা ফুঠে উঠছে। শীতের সময় পিঠা পুলির আমেজ ভেসে উঠে তাই কবিতায় লিখা আছে রাস্তার মোড়ে আনাচে কানাচে ভাপা পিঠার ঘ্রাণ ভেসে উঠে। নতুন খেজুরের রস চুমুকে যেন মনকে ঠান্ডা শিতল করিয়ে তলে।

শীতের কবিতা বাংলা

শীতের কবিতা বাংলা আমরা আপনাদের জন্য শীতের সকল বিষয় নিয়ে কবিতা এইখানে রচিয়তা করা রয়েছে আপনাদের পছন্দ মতন এইখান যেকোন কবিতা সংগ্রহ করে রাখতে পারেন কারণ আমাদের পুরো আর্টিকেলটি বাংলা কবিতা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এইখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় কিছু শীতের কবিতা আলোচানা করা রয়েছে আশাকরি আপনারে পছন্দ হবে তাছাড়াও যেহেতু পড়ে ফেলেছেন তাহলে নিচে আমরা শীতের একটি বাংলা কিবতা প্রকাশ করি।

শীতের ছবি

সকালটা কুয়াশায় চারপাশ ডেকে যায়
আমাদের খুকুমণি দৃশ্যটা এঁকে যায়
তাড়াতাড়ি জলদি
রং করে হলুদ
হয়ে যায় ছবিটা, শর্ষের ফুল যে
হিম হিম কুয়াশায় ভিজে নদীকূল যে।

আঁকে খুকু রসে ভরা খেজুরের হাঁড়িও
পাখিদের আনাগোনা, কুঁড়েঘর-বাড়িও
ছোট-বড়ো গাছরা
পুকুরের মাছরা
ফুল-পাখি, লতা-পাতা, গায় গীত গীত রে
হিম হিম কুয়াশায় এলো শীত শীত রে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতাটি লিখেছেন খায়রুল আলম রাজু। কবিতায় কবি শীতকালের বাচ্চাদের কথা তুলে ধরেছেন। বাচ্চারা শীতকালে প্রকৃতিকে কিভাবে আপন করে নেয় এবং বাচ্চাদের জীবন নিয়ে ব্যাস্ত এই কবিতায় কবি আলোচ্য বিষয় তুলে ধরেছন। কবিতায় কবি শীতকালে খেজুরের রসের হাড়ির রস সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রকৃতির এক আজব খেলা প্রকাশ করেছেন।

শীতের আগমন নিয়ে কবিতা

শীতের আগমন নিয়ে কবিতা আপনারা অনেকে জানতে চান শীতের আগমন নিয়ে একটি কবিতা হক। আপনাদের জন্য শীতের আগমন নিয়ে একটি কবিতা প্রকাশ করছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে েতাছাড়ও শীতের আগমন নিয়ে বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠান গুলোতে কবিতা নিয়ে পশ্ন থাকে তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে কবিতা গুলো। সাধারণত সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোতে শীতের আগমন নিয়ে বিভিন্ন রচনা আর্বিতি হয়ে থাকে।

শীতের আগমন বার্তা

শীতের মৌসুম আসছে ধীরে ধীরে
মাঠ ঘাঠ সব শুস্ক চৌচির করে
দিনে তবু এখনো ফ্যান-এসি চলে
রাতের গল্প হয় কাঁথা কম্বলের তলে

শীতের ব্যবহার যেন আস্ত একটা চোড়
দিনে পালায় রাতে যেন তোর জোর
শুস্ক বাতাসে ঠোট ফেটে খান খান
চারিদিকে শীতের উত্তেজনা টানটান

আসছে আবার কাপাকাপির দিন
ছোটন কাকা আবার প্রস্তুতি নিন
শীতের পোশাকের লাগবে কারা কারি
মাথা ঠান্ডা হয়ে কমবে মাড়ামাড়ি

গরমকালে যারা বলতো শীত ভীষণ ভালো
আবার তারাই বলবে গরমই ভালো ছিল
তদপরি মৌসুম আসবে যাবে
ছোটন কাকা আজীবন স্মৃতি হয়ে রবে।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতাটি শীতকালের আগমন নিয়ে একটি ভিন্ন গল্প প্রকাশ করেছে। শীতের যত খুনশুটি ভাব প্রকাশ তার এই কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। কবিতাটিতে খুনসুটি কথা লিখা আছে এবং মজাদার একটি কবিতা যাদের ভালো লাগবে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন কারণ এই কবিতা বন্ধুর উদ্দেশ্যে খুনসুটির কাজের কথা তুলে ধরা আছে।

বিদায় কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিদায়-কবিতা-রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর
বিদায় কবিতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক কবিতা প্রকাশ করেছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কবিতা গুলো আপনাদের সামনে এখন উপস্থাপন করা হলো। বিদায় বেলায় কবি কবিতায় তার নিজের জীবনের অন্তিম মুহূর্ত সময় কাটিয়েছেন তারি ভাব প্রকাশ করেছেন তার বিদায় কবিতা গুলোয়। চলুন আমরা নিচে দেখে নি কবি কিভাবে বিদায় বেলায় কবিতাতে ভাব প্রকাশ করেছেন।

বিদায়

এতদিন যে গান গেয়েছি তোমাদের মধুর ধ্বনি
বিদায় বেলার শেষে তারে কেঁদে ফেলতে মানা।
আমার চিত্ত ছিল ভরা
ভালোবাসায় পেয়েছি সাড়া
সেই আনন্দ-দানে যেন
নতুন দিগন্ত আনো।

তোমাদের পথ-চলা গান গাইবে নূতন প্রাণে
ফিরে আসবে না যে আমি
মিশে যাবো স্রোতের টানে।
নেই অভিমান, নেই কোন ক্ষোভ
শেষ হোক গান, পূর্ণ হোক ভাব।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতাটি বিদায় কবিতা সঞ্চয়িতা থেকে প্রকাশ পাওয়া একটি ছোট রবীন্দ্রনাথের বিদায় বেলাকার কবিত।

শেষ কথা

আমার এ গান শেষ হবে তোমারই সুরে
নীরব বীণায় বাজবে কি সেই মধুরে।
বিদায় বেলায় থেমে যাবে যত কথা
তবুও রবে শুধু হৃদয়ে সেই ব্যথা।

তোমার আকাশে ভাসবে মোর সেই গান
তুমি শুনিবে কি তারে আপন সুখের তান?
আলো নিভে যাবে, মিশে যাবো ছায়ায়
তবু সুর বাঁচে মোর তোমার হৃদয়-থায়।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতাটি শেষ লেখা কবিতা। কবিতাটি কবি তার বিদায় বেলাকার শেষ কবিতা নামে পরিচিত প্রকাশ করেছেন। কবিতাটিতে কবি তার বিদায়ের পর তার সেই গান কে শোনবে ভেবে তার মনের ভেতর যত ব্যাথা সেই ব্যাথা কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন।

বিদায়

তবে আমি যাই গো তবে যাই
ভোরের বেলা শূন্য কোলে
ডাকবি যখন খোকা বলে
বলব আমি, নাই সে খোকা নাই
মা গো, যাই।

হাওয়ার সঙ্গে হাওয়া হয়ে
যাব মা, তোর বুকে বয়ে
ধরতে আমায় পারবি নে তো হাতে।
জলের মধ্যে হব মা, ঢেউ
জানতে আমায় পারবে নে কেউ
স্নানের বেলা খেলব তোমার সাথে।

বদলা যখন পড়বে ঝরে
রাতে শুয়ে ভাববি মোরে
ঝরঝরানি গান গাব ওই বনে।
জানালা দিয়ে মেঘের থেকে
চমক মেরে যাব দেখে
আমার হাসি পড়বে কি তোর মানে।

খোকার লাগি তুমি মা গো
অনেক রাতে যদি জাগ
তারা হয়ে বলব তোমায়, ঘুমো
তুই ঘুমিয়ে পড়লে পরে
জ্যোৎস্না হয়ে ঢুকব ঘরে
চোখে তোমার খেয়ে যাব চুমো।

স্বপন হয়ে আঁখির ফাঁকে
দেখতে আমি আসব মাকে
যাব তোমার ঘুমের মধ্যিখানে।
জেগে তুমি মিথ্যে আশে
হাত বুলিয়ে দেখবে পাশে
মিলিয়ে যাব কোথায় কে তা জানে।

পুজোর সময় যত ছেলে
আঙিনায় বেড়াবে খেলে
বলবে খোকা নেই রে ঘরের মাঝে।
আমি তখন বাঁশির সুরে
আকাশ বেয়ে ঘুরে ঘুরে
তোমার সাথে ফিরব সকল কাজে।

পুজোর কাপড় হাতে করে
মাসি যদি শুধায় তোরে
খোকা তোমার কোথায় গেল চলে।
বলিশ খোকা সে কি হারায়
আছে আমার চোখের তারায়
মিলিয়ে আছে আমার বুকে কোলে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম বিদায়। যা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদায় বেলার এক জনপ্রিয় কবিতা। এই কবিতায় কবি তার জীবনের শেষ বেলাকার ঘটনা বলি ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতাটি বেশ জনপ্রিতা লাভ করে।

শীতের কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম

শীতের কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম আপনাদের অনেক পছন্দের হয়ে থাকে ওপরে আমরা শীতের কবিতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা প্রকাশ করেছি এখন আমরা কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি ছোট কবিতা দেখব যা শীতকাল নিয়ে কবিতাটি প্রকাশ পেয়েছে এবং কবিতাটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনারা চাইলে কবিতাটি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।

পৌষ

পউষ এলো গো
পউষ এলো অশ্র পাথার হিম পারাবার পারায়ে
ঐ যে এলো গো
কুজঝটিকার ঘোমটা পরা দিগন রে দাড়ায়ে
সে এলো আর পাতায় পাতায় হায়
বিদায় ব্যথা যায় গো কেঁদে যায়
অস্ত বধূ আ হা মলিন চোখে চায়
পথ চাওয়া দীপ্ত সন্ধ্যা তারায় হারায়ে

এক বছরের শ্রানি পথের কালের আয়ু-ক্ষয়
পাকা ধানের বিদায়-ঋতু, নতুন আসার ভয়।
পউষ এলো গো পউষ এলো
শুকনো নিশাস কাঁদন ভরাতুর
বিদায়-ক্ষণের আ-হা ভাঙা গলার সুর
ওঠে পথিক যাবে অনেক দূর
কালো চোখের করণ চাওয়া ছাড়ায়ে।

আলোচ্য বিষয়ঃ কবিতার নাম পৌষ কবিতাটির লেখক কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি শীতের েএকটি জনপ্রিয় কবিতাটি রচিয়তা করেছেন যা আপনারা অলরেডি পড়ে ফেলেছেন। কবিতাটি অনেক সুন্দর যা পৌষ নিয়ে লিখা। কবিতাটি কবি পৌষ ঋতুর পাকা ধানের কথা সাথে গ্রামের বধূর মিলন চোখের চাহনীর কথা তুলে ধরেছেন যা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কবি।

ছোটদের শীতের কবিতা

ছোটদের শীতের কবিতা অনেকে খুজে থাকেন এই শীত নিয়ে আমরা শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুন্দর সুন্দর কবিতা রচিয়তা প্রকাশ করা আছে যা ছোটদের জন্য অনেক সহজ। আপনাদের ভালো লাগলে কবিতা গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। ছোটদের শীতের কবিতা গুলো অনেক মজার এবং সহজ করে দেওয়ার জন্য বাছাই করে কিছু কবিতা নিচে প্রকাশ করা হলো।
ছোটদের-শীতের-কবিতা
বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজন কারণ বাচ্চাদের পড়াশোনার সময় বা পরিক্ষায় ছোটদের জন্য শীতের কবিতা আসে যা আগে থেকে যানা থাকলে বাচ্চাদের জন্য বিষয়টি সহজ হয়ে উঠবে এবং পরিক্ষায় বা যেকোন সংস্কৃতিক প্রতিযোগতীয় বাচ্চারা কবিতা আর্বিতি করতে পারবে।

শীতের মজা

শীত এলো যে শীত এলো যে
ফুটল গাঁদা ফুল
শীত এলো যে শীত এলো যে
ধরল গাছে কুল।

শীত এলো যে বইছে দেখি
উত্তরেরই হাওয়া
শীতকালেরই সকালবেলায়
খেজুরের রস খাওয়া।

আলোচ্য বিষয়ঃ শীতের ছোটদের জন্য শীতের কবিতা সুন্দর এই কবিতা গুলো খুব সহজে বাচ্চারা মুখস্ত করতে পারবে। এই কবিতায় শীতের সময় গাদা ফুলের সমাহার আর গ্রামের খেজুর রসের কথা তুলে ধরা রয়েছে।

শীতের পিঠা

ইষ্টিকুটুম মিষ্টি কুটুম এসো মোদের বাড়ি
খেতে দেবো রসের পিঠা বোসো তাড়াতাড়ি।
চিতই পিঠা ভাপা পিঠা আছে
আমার কাছে গরম গরম খাও
নাহলে ফুরিয়ে যাবে পাছে।

কুলি পিঠা পুলি পিঠা আরও দেবো খেতে ভিজিয়ে বসে
খেতে হলে বোসো পিড়ে পেতে।
পাকান পিঠা পাটিসাপটা সাথে আরও খাবে
একটি রোসো খানিক বোসো জুড়োলে স্বাদ পাবে।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতায় লেখক শীতের সময় পিঠা পুলির দাওয়াত এর বিষয় ফুটে উঠেছে। বন্ধু বান্ধব বা আত্বীয় সজনদের পিঠার দাওয়াত দেয়ার ভাব প্রকাশ দেখা যায়। কবিতাটি বাচ্চাদের জন্য অনেক সহজ একটি শীতের কবিতা।

শীত এলো কবিতা

শীত এলো কবিতা অনেকে খুজে থাখেন যদি আমাদের কবিতাটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক যায়গায় এসেছেন। কবিতাটি লিখেছেন সুুনির্মল বসু। এই কবিতাটি সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশ করা রয়েছে। শীতকালে বিভিন্ন প্রশ্ন বলি সংস্কৃতি, অনুষ্ঠান বা স্কুল প্রতিষ্ঠানে ইত্যাদি পর্যায়ে কবিতাটি উপস্থাপন হয়ে থাকে তাদের জন্য কবিতাটি দেখে নিতে পারেন চাইলে বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে রাখতে পারেন। আমরা ওপরে শীতের কবিতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় কবিতা গুলো প্রকাশ করেছি শুরুতেই ভালো লাগলে রেখে দিবেন।

শীত এলো

ধীরে ধীরে শীত নামে
ধরণীর প্রান্তে
রজনীর শেষে আজ
পেরেছি তা জানতে
ক্ষণে ক্ষণে বন তলে
কনকনে হাওয়া চলে
ঝুরু ঝুরু কাপে পাতা
শুনেছি একান্তে

এলাম আবার যেন
তুষারের রাজ্যে
ঝিম ঝিম হিম ঝরে
অবিরাম আজ যে
আবার শীতের শুরু
দেহ কাঁপে দুরু দুরু
হিমেল জোয়ার এলো
দুনিয়ার মাঝ যে।

খোলা জানালায় দেখি
নিরালায় রাত্রে
কেঁপে সারা যত তারা
আকাশের গাত্রে
চেয়ে দেখি বারে বারে
আকাশের ধারে ধারে
বাঁকা চাঁদ ভেসে চলে
হিম নদী সাঁতরে।

শীত এলো ,শীত এলো
এবার নিতান্ত
শীতের বেশেতে যেন
এসেছে কৃতান্ত
হিমের পরশ লেগে
শেষরাতে উঠি জেগে
কাঁপন ধরেছে ভাই
লেপ কাঁথা আন তো।

গহিন রাতেতে জাগি
তুহিনের স্পর্শে
উঠে বসে ভাবি আমি
কপি থরথর সে
বরফের দেশ হতে
হিমানী হওয়ার শ্রতে
কে তুমি মোদের দেশে
আসো প্রতি বর্ষে।

ধোয়া আর কুয়াসার
ওড়না যে অঙ্গে
দিনরাত হিম হাসি
হাসো তুমি রঙ্গে
আবার মোদের দেশে
এসেছ অতিথি বেশে
মেরুর আমেজ যেন
আনিয়াছ সঙ্গে।

আলোচ্য বিষয়ঃ এই কবিতাটির লেখক সুনির্মল বসু। সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা এটি যা শীত কাল নিয়ে লেখা। এই কবিতায় কবি শীতকাল আসা নিয়ে কবি তার কবিতায় বিভিন্ন কথা প্রকাশ করেছেন। শীতের সকল আসা নিয়ে প্রকৃতির সাথে তুলে ধরেছেন কবি।

শীতের কবিতা নিয়ে শেষ কথা

শীতের কবিতা নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল শেষ হলো। আমরা আজকের আর্টিকেলে শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে জনপ্রিয় কবিতা গুলো প্রকাশ করেছি। শীতকালে বিভিন্ন পর্যায়ে এই কবিতা গুলো দরকার পড়ে। ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আর নিয়মিত আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি আপনাদের প্রয়োজনে সাইটটি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url